12 বছর বয়সীদের জন্য নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোনটি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ না থাকার কারণে ছোট বড় সকলের অনায়েসে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছোট ছেলেমেয়েরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর প্রতি বেশী আসক্ত হওয়ার কারণে তারা শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

আজকে আমরা জানব, 12 বছর বয়সীদের জন্য নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে জেনে নেই। 

সামাজিক যোগাযোগ কি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হল আমরা প্রতিনিয়ত যে সকল ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে দ্রুত এবং খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ, ব্যক্তি তথ্য, অভিমত, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি সহজেই আদান-প্রদান করতে পারি। বর্তমান সময়ে আমাদের কাছে সবচেয়ে যোগাযোগের সহজ ও দ্রুত মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা ও চাহিদা অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়াকে সাধারণত কয়েকটি  ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সকল কার্যাবলী খুব সহজেই করতে পারি এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে আমরা মোটা অংকের টাকা উপার্জন করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারি। 

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম

জীবন যাত্রার মান ও সকল কাজকর্মকে প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজ করে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা যেমন এর সুফল ভোগ করতে পারছি। আবার তেমনি প্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা মুখোমুখি হচ্ছি।  

আরো দেখুন>>>

আজকের আধুনিক যুগে খুব কম মানুষ আছে যাদের কাছে মোবাইল নেই এবং সেই মোবাইল ফোনের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাপ নেই। সকল মোবাইল ডিভাইসের সাথে সর্বদা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট সংযুক্ত থাকে। চলুন কিছু জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া নাম জেনে নেওয়া যাক। যেমন, ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, স্নাপচাট ইত্যাদি।

সামাজিক মিডিয়ার উপকারিতা 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো আমরা খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ব্যবহারের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন,

  • বর্ধিত যোগাযোগ,
  • সৃজনশীলতা,
  • জ্ঞান অর্জন ও বিকাশ,
  • সুখের অনুভূতি ও মানসিক সমর্থন,
  • শিক্ষা অর্জন ইত্যাদি। 

সামাজিক মিডিয়ার অপকারিতা 

  • কম মনোযোগ স্পাম,
  • মানসিক ও শারীরিক সমস্যা,
  • ঘুমের ঘাটতি,
  • আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের সাথে সম্পর্কের ঘাটতি,
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ,
  • কাজের প্রতি অনাগ্রহ ইত্যাদি। 

12 বছর বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত নয়। তারা পড়াশোনা ও খেলাধুলা নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত থাকবে। এদিকে নজর রাখতে হবে তাদের অভিভাবকদের শুধুমাত্র প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত। নয়তো অতিরিক্ত আসক্তির কারণে তাদের বিভিন্ন ধরণের মানসিক ও শারীরিক ঘাটতি দেখা দিতে পারে। 

Leave a Comment