৩ মে কি দিবস? 

আজ ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। মুক্ত সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতিবছর এই দিনটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে উক্ত এই দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির এবারের মুল  প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল শৃঙ্খলে সংবাদমাধ্যম’।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেশের সাংবাদিকরা পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। দিবসটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোর মতো বাংলাদেশও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় রয়েছে। 

৩ মে কি দিবস? 

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ করে। বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদান করা হয় দিবসটিতে। 

৩ মে কি দিবস? 

উত্তরঃ ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস।

বিশ্বে যখন মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হচ্ছে, তখন বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যমের ওপর চাপ ও ভয়ভীতি আমাদের যারপরনাই উদ্বিগ্ন করছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জরিপ এবং মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে সারা বিশ্বেই গণমাধ্যমের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে এমন দেশ গুলোর তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে। 

আরোও দেখুন>>>

এই প্রেক্ষাপটে প্রেস কাউন্সিলের আদেশ না মানলে সংবাদপত্র সর্বোচ্চ ৩০ দিন বন্ধ রাখতে খোদ আইন কমিশনের প্রস্তাবে আমরা স্তম্ভিত। বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে আইন কমিশন ও বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঐতিহ্যগতভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করতেই ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ 

চলতি বছরে বিশ্ব গণমাধ্যম এই দিবসটির মুল প্রতিপাদ্য ছিল জার্নালিজম আন্ডার ডিজিটাল সিজ বা ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা। ডিজিটাল নজরদারি ও আক্রমণের মুখে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতা যে হুমকি মোকাবেলা করছে, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টও বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

সাংবাদিক সমাজের দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে যে নিয়ম কানুন বাতিল করা হয়েছে, সেটি ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব যেমন গণমাধ্যমের ওপর একটি আঘাত হবে তেমনি গণতন্ত্র ও সভ্যতারও পরিপন্থী। মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রত্যাশা সব ধরনের কালাকানুন, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বাধা ও হুমকির অবসান ঘটিয়ে দেয়। একটি দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝা যায় এই গণমাধ্যম গুলো থেকেই। তাই গণমাধ্যম গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায় রয়েছে। 

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত প্রতিদিনের দিবস সম্পর্কে পোস্ট আপডেট করে থাকি। আমাদের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বেশি বেশি শেয়ার করে সবাইকে দেখার সুযোগ তৈরি করে দিন, ধন্যবাদ। 

৩ মে নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর:

৩ মে কি দিবস? 

৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস।

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস কেন পালিত হয়?

৬ দফা দাবি গুলোর মাধ্যমে পূর্ব বাংলার মানুষরা তাদের নায্য অধিকার ফিরে পেয়েছিলো।

Leave a Comment