৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল 

যারা বর্তমান সময়ে ৪০ হাজার টাকা বাজেট সেগমেন্টের মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন খুজতেছেন তাদের জন্য আজকের আমাদের এই পোস্টটি অনেকটা হেল্পফুল হবে। গেমিং করেন, ফটোগ্রাফি করেন অথবা লংটাইম হেবি ইউজ করেন।

আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করব ৪০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন গুলো নিয়ে। এখানে আমরা কয়েকটি মোবাইলের ভালো ও খারাপ দিকগুলো তুলে ধরব এখান থেকে আপনি বুঝে নিতে পারবেন আপনার দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা অনুযায়ী কোন মোবাইলটি আপনার কাছে পারফেক্ট ও ইউজেবল হবে। 

৪০ হাজার টাকা দামের মধ্যে ভালো মোবাইল

আমাদের এই পোস্টের তালিকায় থাকা ফোন গুলোর মধ্যে আমরা সব থেকে বেশি প্রাধান্য যে বিষয়গুলোকে দিয়ে থাকি। সেটি হচ্ছে ইউজার রিভিউ, যে ফোনের ইউজার যত ভালো আমরা সেই মোবাইল ফোন গুলোকে আমাদের পোস্ট এর ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছি। তো আপনারা চাইলে নির্দিধায় এই তালিকা থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোন একটি মোবাইল ফোন কিনে নিতে পারবেন। 

আমাদের এই পোস্টে থাকা মোবাইল গুলো দিয়ে দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজের পাশাপাশি এই ফোনগুলোর দ্বারা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি, গেমিং এবং দীর্ঘদিন যাবত হেভি ইউজ করতে পারবেন অনায়াসে। তাহলে দেরি না করে চলুন দেখে নেই ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল গুলোর তালিকা। 

OnePlus 9R- ওয়ানপ্লাস ৯ আর

ওয়ানপ্লাস ৯ আর- OnePlus 9R এর স্পেসিফিকেশনঃ

                         দামঃ ৩৯,৯৯০- ৮/২৫৬GB

ডিসপ্লে৬.৫৫ ইঞ্চি
মেইন ক্যামেরা48+16+5+2 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
ফ্রন্ট ক্যামেরা১৬ মেগাপিক্সেল
র‍্যাম৮ জিবি
স্টোরেজ২৫৬ জিবি 
ব্যাটারি৪৫০০ মিলি এম্পিয়ার 
প্রসেসরকোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ ৫জি 
দাম৩৯,৯৯০- ৮/২৫৬GB

OnePlus 9R এই মোবাইল ফোনটি ডিজাইন ও পারফরম্যান্সের দিক থেকে সেরা একটি স্মার্টফোন। এই ফোনটির সামনে এবং পিছনে কর্নিং গরিলা গ্লাসের প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে।  ডিসপ্লে প্রটেকশন হিসেবে থাকছে কর্নিং গরিলা গ্লাস এর প্রোটেকশন এবং এই ফোনটি অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম দ্বারা গঠিত। সামনে এবং পিছনে কর্নিং গরিলা গ্লাস থাকায় এবং অ্যালুমিনিয়াম প্রেম থাকায় এই মোবাইল ফোনটি যথেষ্ট পরিমাণে  শক্ত ও মজবুত।

 ৬.৫৫ ইঞ্চির ফ্লুয়েড অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে ফোনটিতে ১২০Hz রিফ্রেশ রেট প্রোভাইড করে থাকে ডিসপ্লেটি। এই ফোনটিতে ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ১০৮০ x ২৪০০ মেগাপিক্সেল। আমরা সকলেই জানি ওয়ানপ্লাস ব্রান্ড সচরাচর ফ্লাগশিপ লেভেলের ফোন গুলো মার্কেটে লঞ্চ করে থাকে। 

সেরা পারফর্মেন্স প্রদান করার জন্য এই ফোনটিতে কোয়ালকম স্নাপড্রাগণ ৮৭০ এর প্রসেসরটি ব্যবহার করেছে, সাথে আছে অ্যাড্রেনো ৬৫০ জিপিইউ। গেমিং এর জন্য বেস্ট একটি প্রসেসর হচ্ছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগণ ৮৭০ এই প্রসেসরটি। সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য এই ফোনটির রিয়ার প্যানেলে আছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। 

যেখানে রয়েছে চারটি ক্যামেরা তার মধ্যে মেইন ক্যামেরাটি হচ্ছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের। সাথে থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রা হোয়াইড ক্যামেরা, মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো ক্যামেরা লেন্স এবং মেগাপিক্সেলের একটি Defth সেন্সর। 

ওয়ানপ্লাস ৯ আর

এই মোবাইলটির রিয়ার ক্যামেরা দিয়ে 4K রেজুলেশন এ 30/ 60fps এ ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। সেলফি ও ভিডিও কলিং এর জন্য এই মোবাইলের ফ্রন্ট সাইডে থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা, এই ক্যামেরা দিয়ে ১০৮০ রেজুলেশনে ৩০/ ৬০/ ১২০fps এ ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। 

৪৫০০ মিলি এম্পিয়ারের ডুয়েল সেল একটি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে ওয়ানপ্লাস ৯ আর ফোনটিতে। নরমাল ইউজে সারাদিন ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন ১০০% চার্জ দিয়ে। আর যদি গেমিং অথবা একটু হেবি ইউজ করেন তাহলে হয়তোবা দিনে আরো একবার চার্জ দেওয়া লাগতে পারে। সব থেকে মূল আকর্ষণ হচ্ছে এই ফোনটির চার্জারটিতে। ৬৫ ওয়াটের র‍্যাপ চার্জার থাকায় ১ থেকে ১০০% চার্জ করতে সময় লাগবে মাত্র ৩৯ মিনিট। 

Oppo Reno 5pro 5G- অল্পো রেনো ৫প্রো ৫জি  

Oppo Reno 5pro 5G- অল্পো রেনো ৫ প্রো ৫ জি এর স্পেসিফিকেশনঃ

                           দামঃ ৪০,৬০০- ৮/১২৮GB

ডিসপ্লে৬.৫ ইঞ্চি
মেইন ক্যামেরা৬৪+৮+২+২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
ফ্রন্ট ক্যামেরা৩২ মেগাপিক্সেল
র‍্যাম৮ জিবি
স্টোরেজ১২৮ জিবি 
ব্যাটারি৪৩৫০ মিলি এম্পিয়ার 
প্রসেসরমিডিয়াটেক ডায়মেনসিটি ১০০০+
দাম৪০,৬০০- ৮/১২৮GB

সম্প্রতি বিশ্ববাজারকে তাক লাগিয়ে OPPO মোবাইল কোম্পানি তাদের নতুন একটি মডেলের OPPO RENO 5pro 5G মোবাইলটি মার্কেটে লঞ্চ করে। এই মোবাইলটির সামনে এবং গোরিলা গ্লাসের প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে। এই মোবাইলের পুরো ফ্রেমটি অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা গঠিত। ফ্রেমে অ্যালুমিনিয়াম এবং ব্যাংক  ও ফ্রন্টপাটে গ্লাস থাকায় মোবাইলটি অনেক শক্ত ও মজবুত হয়েছে। 

Oppo Reno 5pro 5G এই মোবাইলটি দুইটি স্টোরেজ ভেরিয়ান্টে মার্কেটে অ্যাভেলেবেল রয়েছে। একটি ভেরিয়েন্ট হচ্ছে ৮ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রম এবং দ্বিতীয় ভেরিয়ানটি হচ্ছে ১২ জিবি র‍্যাম সাথে পাচ্ছেন ২৫৬ জিবি রোম অর্থাৎ স্টোরেজ। 

অল্পো রেনো ৫প্রো ৫জি এর ক্যামেরা 

অল্পো রেনো ৫ প্রো ৫ জি এই ফোনটির রিয়ার ক্যামেরা প্যানেলে পাচ্ছেন ওয়ার্ড ক্যামেরা সেটআপ।  ওয়ার্ড ক্যামেরা সেটআপ এর মধ্যে মেইন ক্যামেরাটি থাকলে ৬৪ মেগাপিক্সেলের। সাথে থাকছে ৮ মেগাপিক্সেলের একটি আলট্রা হোয়াইড ক্যামেরা। মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং মেগাপিক্সেলের একটি Defth ক্যামেরা। সেলফি তোলা ও ভিডিও কলে কথা বলার জন্য সামনে থাকছে ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। 

রিয়ার ক্যামেরাটি দিয়ে 4k রেজুলেশনে 30fps এ ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। ফোন ক্যামেরাটি দিয়ে ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনে 1080 রেজুলেশনে 30/ 60/ 120fps এ ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। এই মোবাইল ফোনটিতে সুপারস্টেবলাইজ অপশন থাকায় অসাধারণ ভিডিও কোয়ালিটি পেয়ে যাবেন। 

এবার চলে আসি এই মোবাইলটির ব্যাটারি পারফরম্যান্স ও চার্জার এর দিকে। এই মোবাইলটিতে ৪৩৫০ মিলি এম্পিয়ারের একটি নন রিমুভএবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ফ্লাগশিপ ফোন হিসেবে এই মোবাইল ফোনটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি আরেকটু বেশি দিলে বেটার হতো।

এই ফোনটিকে চার্জ করার জন্য একটি  Supervooc 2.0 65 waat এর চার্জার দিয়ে থাকতে অল্পো কোম্পানি। স্মার্ট ফিচার হিসেবে এই ফোনটিতে রয়েছে রিভার্স চার্জিং সিস্টেম। অর্থাৎ এই ফোনটি থেকে ওয়ারলেসের মাধ্যমে অন্য ফোনে চার্জ করা যাবে খুব সহজে। 

বন্ধুরা আশা করি ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল দুইটির মধ্যে যেকোনো একটি মোবাইল আপনাদের পছন্দ হয়েছে। কোন মোবাইলটি আপনার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে তা আমাদেরকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করতে ভুলবেন না।  এতে করে তারাও ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ভাল মোবাইল ফোন গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে। 

Leave a Comment