আমাদের সূর্যের নাম কি

সৌরজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কেন্দ্রে অবস্থিত তারা বা নক্ষত্রটির নাম হল সূর্য। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সূর্যের অনেকগুলো নাম রয়েছে, যদি না জেনে থাকেন। তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে সূর্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক ও নাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

সূর্য কি

সৌরজগতের কেন্দ্র অবস্থিত মাঝারি আয়তনের নক্ষত্রটি হলে সূর্য। সূর্য ছাড়া সৌরজগতের গ্রহ, উপগ্রহ গুলো অচল। পৃথিবীর ব্যাস প্রায় ১৩০০০ কিলোমিটার এবং সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৪ কোটি কিলোমিটার।  সূর্যের আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়। পৃথিবীর থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার। 

সূর্য তার নিজস্ব গ্যালাক্সির চতুর্দিকে বৃত্তাকার পথে ২০ কোটি বছরে একবার প্রদিক্ষণ করে এবং নিজ কক্ষপথে প্রায় ২৫ দিনে একবার আবর্তন করে। সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা ৮ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং পৃষ্ঠদেশে তাপমাত্রা প্রায় ৫৭০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত। সূর্যের তাপমাত্রা রয়েছে তার ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ তাপমাত্রা শুধু পৃথিবীতে আসে। যে তাপমাত্রায় কারণে আমরা বেঁচে আছি। 

সূর্যের নাম

ইংরেজি Soll শব্দটির অর্থ হল সূর্য, যা প্রাচীন রোমান ভাষা থেকে এসেছে। তবে ইংরেজিতে সূর্যকে SUN বলা হয়। বাংলায় সূর্যকে রবি বা রবি মামা বলা হয়। 

হিন্দুদের মতে, সূর্য একজন দেবতা। তিনি আদিত্যগণের অন্যতম এবং কশ্যপ ও তাঁর অন্যতমা পত্নী অদিতির পুত্র। কোনো কোনো মতে তিনি ইন্দ্রের পুত্র। সূর্যের কেশ ও বাহুর সোনার।

সূর্যের বয়স কত 

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মধ্যে সৌরজগত ও সূর্য নিয়ে বিভিন্ন কাল্পনিক ধারণা ও বিভ্রান্তি ছিল। তৎকালীন জ্যোতিষ বিদ্যা এক সময় বলতেন যে পৃথিবীর চারদিকে সূর্য ঘোরে, আবার বলতেন যে সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘুরে। এরকম বিভ্রান্তিকর ধারণা ছিল, তারা সৌরজগত নিয়ে এসব ধারণা বিশ্বাস করতেন। কিন্তু সূর্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা সময়ের পরিবর্তনে আবিষ্কৃত হয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীদের মতে সূর্যের জন্ম হয়েছে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর পূর্বে। 

কিভাবে সূর্য সৃষ্টি হয়েছে   

সূর্য পৃথিবীকে প্রতিদিন আলোকিত করে যার মাধ্যমে আমাদের জীবনের সূচনা ঘটে। সৌরজগৎ বা সৌরপরিবার লক্ষ-কোটি তারার মধ্যে একটি মাঝারি হলুদ তারা হল সূর্য। প্রায় ৪৬০ কোটি বছর আগে মহাশূন্যে ভাসমান ধূলিকণা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের বিশাল সংকোচিত হয়ে জমাট বেঁধে তৈরি হয় সূর্য। সদ্য জন্মানো মহাকর্ষের কারনে পরমাণু পরমাণুতে ধাক্কা লেগে প্রচণ্ড তাপ আর শক্তি সৃষ্টি হয়।

আরো দেখুন

এর ফলে জ্বলন্ত আগুনের গোলার মতো সূর্য থেকে আলো উত্তাপ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশিষ্ট ধূলিকণা গ্যাস সূর্যের আকর্ষণে সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরেই ধুলোর মেঘ থেকে তৈরি হয় পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ। এই সবকিছু নিয়ে সৃষ্টি হয় সৌরজগৎ বা সৌরপরিবার। 

আশাকরি সূর্য সম্পর্কে আপনি অনেক বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। 

Leave a Comment