আন্তর্জাতিকতাবাদ কত প্রকার ও কি কি

আন্তর্জাতিকতাবাদ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বৃহত্তর বিশ্ব সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে নিবেদিত এক মহান আদর্শের নাম। আন্তর্জাতিক বাদের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সংকীর্ণ গণ্ডি বা নিজ ভূখন্ড অতিক্রম করে বিশ্ব মানবতার সঙ্গে একত্রিত হতে পারে। আন্তর্জাতিকতাবাদ সাধারণত তিন প্রকার। 

চলুন তাহলে জেনে নেই, আন্তর্জাতিকতাবাদ কি ও আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রকারভেদ সম্পর্কে। 

আন্তর্জাতিকতাবাদ কি 

সাধারণ অর্থে আন্তর্জাতিকতাবাদ হল বৃহত্তর বিশ্ব সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে নিবেদিত এক মহান আদর্শের নাম। এই মহান আদর্শের প্রধান উদ্দেশ্য হল বিশ্বশান্তি, বিশ্ব মানবতা ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের নীতি। আন্তর্জাতিকতাবাদের মাধ্যমে আমরা শুধু একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখে না বরং আমরা গোটা দুনিয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে। গোটা দুনিয়ায় আমাদের নিজের ভূখন্ড। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গোল্ড স্মিথের মতে, আন্তর্জাতিকতাবাদ হলো এমন একটি ধারণা যা একজন ব্যক্তিকে শুধুমাত্র তার নিজের দেশের জন্য নয় বরং সমগ্র পৃথিবী নাগরিক হিসাবে গণ্য করা হয়। 

আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রকারভেদ

আন্তর্জাতিকতাবাদ সাধারণত তিন প্রকার, ১৯ শতাব্দীর শুরুতে সারাবিশ্বে পরপর দুটি বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের চিন্তায় জাতীয় রাষ্ট্র তথা জাতীয়তাবাদের বিকল্প হিসাবে আন্তর্জাতিকতাবাদের ধারণাটি প্রাধান্য পায়। প্রথম দফায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উগ্রজাতীয়তাবাদ কিভাবে মানব জাতিকে সর্বাত্মক ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় তা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে আন্তর্জাতিকতাবাদ বা সম্প্রীতি বন্ধুত্বর পথ বেছে নেওয়া হয়। 

আন্তর্জাতিকতাবাদ সারা বিশ্বের সকল জাতিগোষ্ঠীর বা সম্প্রদায়ের সাথে একে অপরের সংহতি ও মিলনের এক অভিনব অনুভূতি। আন্তর্জাতিক মতবাদ হলো এমন একটি রাজনৈতিক দর্শন শাস্ত্রের সংহতি যা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং বিশ্ব শান্তির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত।

আরো দেখুন>>>

আন্তর্জাতিকতাবাদ এমন এক ধরনের মানসিকতা ও চেতনা জাতীয়তাবাদের মধ্যে উঠে বিশ্বের সকল জাতির সম্প্রদায়ের জন্য কল্যাণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে। জাতীয় স্বার্থে মানুষ যখন বিশ্বমানের সমাজের কল্যাণের প্রতি যত্নবান হয় তখনই তা আন্তর্জাতিকতাবাদের রূপ লাভ করে।  

Leave a Comment