বাক্য কাকে বলে?

বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে বাক্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বাংলা ভাষা সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত বাংলা বাক্যের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আপনারা যারা বাক্য সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা পেতে আগ্রহী, তারা অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।  

আমরা যখন এক বা একাধিক পদের মাধ্যমে নিজের মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারি তখন তাকে বাক্য বলে। আবার কতগুলো পদের সমষ্টিতে বাক্য গঠিত হলেও যে কোনো পদসমষ্টিই বাক্য নয়। একটি পরিপূর্ণ বাক্য তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন ওই বাক্যটির দ্বারা বক্তা তার নিজের মনের ভাব অন্যের কাছে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারবে। 

বাক্য কাকে বলে?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে কয়েকটি পদ বা শব্দ পাশাপাশি বসে যখন সম্পূর্ণ একটি অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে। সুবিন্যাস্ত পদের সমষ্টি দ্বারা কোন বিষয়ে বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করাকে বাক্য বলা হয়। আবার অন্যদিকে কতগুলো পদ বা শব্দ পরস্পর সমষ্টিগত ভাবে গঠিত হলেও যদি কোন সুনিদৃষ্ট অর্থ প্রকাশ না করে তবে সে ক্ষেত্রে সেটাকে বাক্য বলা যাবেনা। বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও অরথবোধক থাকা প্রয়োজনীয়। এছাড়া বাক্যের অন্তর্গত বিভিন্ন পদ দ্বারা একটি অখণ্ড ভাব পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয় এবং বক্তা এই বাক্যটি দ্বারা নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে। 

বাক্য কাকে বলে?

উত্তরঃ সহজ ভাষায় বলতে গেলে কয়েকটি পদ বা শব্দ পাশাপাশি বসে যখন সম্পূর্ণ একটি অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে।

বিভিন্ন বাংলা বিশেষজ্ঞগণ বাক্য সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত তাদের গ্রন্থের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যেমন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাক্য হল একটি সম্পূর্ণ মনোভাব যে সমস্ত পদ দ্বারা প্রকাশ করা যায়, তাদের সমষ্টিকে বুঝায়। অন্যদিকে বাংলা ব্যাকরণবিদ মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর মতে, বাক্য হল যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ এক কথায় বাক্য হলো, এক বা একাধিক পদের দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়। 

বাক্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য

পরস্পর কয়েকটি পদ বাশব্দ মিলিত হয় যখন একটি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে। তাই একটি পরিপূর্ণ অর্থবোধক বাক্য প্রকাশ করার জন্য বাক্যে মূলত কয়েকটি বৈশিষ্ট্য থাকা অপরিহার্য। বাংলা ব্যাকরণ এর মতে একটি পরিপূর্ণ অর্থবোধক বাক্য গঠন করার ক্ষেত্রে বাক্যে মূলত তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক। যেমন, আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা। 

আরোও দেখুন>

বাক্য কত প্রকার? 

বাংলা ব্যাকরণবিদের মতে বাক্যকে সাধারণত ০৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা, সরল বাক্য, জটিল বাক্য যৌগিক বাক্য। 

১. সরল বাক্যঃ যে বাক্যে সাধারণত একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে সরল বাক্য বা সাধারণ বাক্য বলে। যেমন, চলো ফুটবল খেলি। 

২. জটিল বাক্য বা মিশ্র বাক্যঃ যে বাক্যে  এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্যে পরস্পর সাপেক্ষ ভাব ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্যঃ বলে। যেমন, যেহেতু তুমি মিথ্যা বলেছ, সেহেতু তোমার পাপ হবে।

৩. যৌগিক বাক্যঃ যে বাক্য দুই বা ততোধিক সরলবাক্য সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন, সাকিব একজন ভালোমানের ক্রিকেটার কিন্তু বিশ্বকাপে ভালো করেনি। 

বাক্য নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর:

বাক্য কাকে বলে?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে কয়েকটি পদ বা শব্দ পাশাপাশি বসে যখন সম্পূর্ণ একটি অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বাক্য বলে।

বাক্য কত প্রকার? 

বাংলা ব্যাকরণবিদের মতে বাক্যকে সাধারণত ০৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা, সরল বাক্য, জটিল বাক্য যৌগিক বাক্য। 

Leave a Comment