বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প রচনা

হ্যালো বন্ধুরা আজ আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প রচনা নিয়ে। আপনাদের সামনে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প রচনাটি এমন ভাবে উপস্থাপন করেছি যে আপনারা তা মুখস্থ বা ধারনা নিয়ে রচনাটি পরিক্ষায় লিখে ভালো মার্ক পেতে পারবেন। 

ভূমিকা

বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার কিছু সংখ্যক মেগা প্রকল্প প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বাংলাদেশ সব-চেয়ে বড় মেগা প্রকল্প গুলোর কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প গুলো সঠিক ভাবে সম্পাদনের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন সাধিত হবে।

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প রচনা

এদেশের মানুষ যেমন একই স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত যেতে পারবে ঠিক তদ্রূপ দেশের অর্থনীতিতে আশানুরূপ ফলাফল আসবে। পৃথিবীর মধ্যে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ গুলো যেমন জ্ঞান-বিজ্ঞান দিক দিয়ে এগিয়ে তদ্রূপ বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে এদেশে তৈরি হচ্ছে বিশাল বিশাল আকারের মেগা প্রকল্প গুলো যা ভবিষ্যতে বাংলার মানুষের জীবন যাত্রায় সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প 

বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ধরনের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ গুলো বিভিন্ন মন্ত্রনালয় অধীনে কাজ গুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দশটি প্রকল্পের মধ্যে আরতি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। 

বাংলাদেশের দশটি মেগা প্রকল্প হলঃ

১। পদ্মা বহুমুখী সেতু।

২।  পদ্মা রেলসেতু সংযোগ।

৩। দোহাজারী রামু কক্সবাজার গুনদুম রেলপথ।

৪। মেট্রোরেল।

৫। পায়রা সমুদ্র বন্দর।

৬। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

৭। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

৮। রামপাল শালা বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

৯। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর।

১০। এল এন জি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল।

পদ্মা বহুমুখী সেতু

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প টি হল পদ্মা বহুমুখী সেতু। এই সেতুটি নির্মাণ করা হয় পদ্মা নদীর উপরে। এই সেতুটির মধ্যে সড়ক ও রেল দুটি বিদ্যমান রয়েছে। সেতুটির ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটানো সম্ভব হয়েছে। ফলে দুই পাড়ের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং সৈয়দপুর ও মাদারীপুর জেলা সংযুক্ত হয়েছে। 

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্র নিজের অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং নির্মাণাধীন প্রকল্প হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। বহুমুখী পদ্মা সেতুতে রয়েছে ৪১ টি স্পান রয়েছে।  যা সেতুর ৬.১৫ কিলোমিটার মূল অবকাঠামো পুরোপুরি দৃশ্যমান  রয়েছে। 

পদ্মা সেতুতে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০,১৮৩ কোটি টাকা। এই সেতুটি ২০২২ সালের ২৫শে জুন আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে। তা যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। 

পদ্মা সেতু সম্পর্কে কিছু তথ্য

গঠন- দ্বি তলা সেতু।

বাহক- যানবাহন, ট্রেন।

নদী- পদ্মা।

সংযোগ- মাওয়া, মাদারীপুর।

নকশা- ইকম। 

উপাদান- কংক্রিট, স্টিল।

পিলার- ৪২ টি।

প্রকল্প ব্যয়- ৬.৫ বিলিয়ন ডলার।

পদ্মা রেলসেতু সংযোগ

সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পটি কাজ করেন. এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা থেকে ফরিদপুর, নড়াইল-যশোর এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করা সম্ভব হয়েছে। 

পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প টির পরামর্শক হল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এই সেতুটির দৈর্ঘ্য হল ১৭২ কিলোমিটার এবং এই সেতুটির তৈরি ঋণদাতা দেশ হল চীন। সেতুটি তৈরি করতে ২৪৭৪৯ কোটি টাকা প্রয়োজন প্রয়োজন হয়েছিল। 

দোহাজারী রামু কক্সবাজার গুনদুম রেলপথ

কক্সবাজার এবং রামু থেকে গুনদুম পর্যন্ত এ প্রকল্পটি মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ট্রাস্ট এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে। এ রেলপথটি তৈরি করা ডুয়েট গেজ  রেললাইন। 

এছাড়াও এই প্রকল্পটি নির্মাণকারী হিসেবে কাজ করবেন প্রকল্পটির প্রথম ভাগ চায়নার সিআরসি ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন যৌথ ভাবে। এছাড়াও দ্বিতীয় ভাগ চায়নার সিসিইসিসি ও বাংলাদেশের ম্যাক্স  ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

দোহাজারী রামু কক্সবাজার গুনদুম রেলপথ প্রকল্পটির দূরত্ব হল ১২৮ কি. মি। 

দোহাজারী-রামু= ৮৮ কি. মি। 

রামু-কক্সবাজার= ১২ কি. মি। 

কক্সবাজার-গুনদুম= ২৮ কি. মি।

এই প্রকল্পটিতে সর্বমোট ব্যয়ের পরিমাণ ১৮০৩৪ কোটি টাকা। রেলপথ টিতে অর্থ সহযোগিতাকারী দেশ হল বাংলাদেশী সরকার দিয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা এবং বাকিটা যোগান দেবে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক লিমিটেড। প্রকল্পটির কাজ করার মেয়াদ দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সাল।  

মেট্রোরেল- ৬ লাইন

ঢাকা শহরে অধিক পরিমাণ জনসংখ্যার বসবাসের ফলে চলার পথে যানজট লেগেই থাকে। যানজট নিরসনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল প্রকল্প টি মাধ্যমে তা নিরসনের চেষ্টা করেন। 

মেট্রোরেল টির সংস্থা জাইকা।ঢাকা মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচল করবে। মেট্রোরেলটির রেলস্টেশন থাকবে ১৬ টি। এছাড়াও প্রতিটি রেলস্টেশন ১৮০ মিটার লম্বা পর্যন্ত হবে। প্রকল্পটির শেষ করার সম্ভাব্য সময় হল প্রথমভাগ উত্তরা তৃতীয় থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ডিসেম্বর ২০১৯ এবং দ্বিতীয় ভাগ আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ডিসেম্বর ২০২০।

আরোও দেখুন>>>

ঢাকা মেট্রো রেল ওয়ে প্রকল্পটির ব্যয় ও অর্থায়ন ২৩৪৯০ কোটি টাকা প্রায়। এছাড়াও এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে জাইকা এবং বাংলাদেশ সরকার। এই মেট্রো রেল ওয়ের মাধ্যমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য সময় লাগবে প্রায় ৪০মিনিট। 

পায়রা সমুদ্র বন্দর

বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হল পায়রা সমুদ্র বন্দর। এছাড়াও এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি সামুদ্রিক বন্দর। বন্দর টি অবস্থিত পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ চ্যানেলে অবস্থিত। পায়রা সমুদ্র বন্দরটি প্রথম যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালের ১৩ ই আগস্ট। 

এই বন্দরটির মাধ্যমে কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন-জাহাজ নির্মাণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও এই বন্দর টি বাংলাদেশের রেল নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হবে বিধায় নদী খননের মধ্য দিয়ে এই বন্দর এর সঙ্গে নৌপথ বক্ষ্মপুত্র থেকে ভারতের আসামের কমিরগঞ্জ পর্যন্ত প্রসারিত করা হবে। পায়রা বন্দর প্রকল্পটির ব্যয় হচ্ছে ৩৯৮২ কোটি টাকা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প টি বাস্তবায়ন করা হয়। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণ ব্যয় হলো ১১৩০৯২৯১ কোটি টাকা। 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে রাশিয়া ঋণ প্রদান করেছে মোট ব্যয়ের ৯০% এছাড়া বাকি অবশিষ্ট ১০% যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন .২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট রয়েছে দুইটি। এই প্রকল্পটি পরিচালনা করেন এটম ওয়েট এক্সপোর্ট রাশিয়া।

 মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রাকৃতিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে মাতারবাড়ি মহেশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। মহেশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মূলত কয়লা ভিত্তিক প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা মাতারবাড়ি তে অবস্থিত। 

এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে প্রতিদিন ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এছাড়াও এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট রয়েছে। দুটি থেকে ৬০০ করে মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এই প্রকল্পটিতে ব্যয়ের পরিমাণ হলো ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। 

এই প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছেন জাইকা ২৯০০ কোটি টাকা এবং বাকি সাত হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার নিজেই বহন করেছেন।

রামপাল শালা বিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কম্পানি মাধ্যমে রামপাল শালা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। রামপাল শালা বিদ্যুৎকেন্দ্র মূলত কয়লা ভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পের সহায়তাকারী প্রতিস্টান হলো বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং এন টি পি সি লিমিটেড ভারত। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটিকে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 

রামপাল ছালা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটির থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট দুইটি ইউনিট থেকে উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পটি তৈরি করতে যে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করেছে তা হল সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। রামপাল শালা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটিতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ হল ১৪৫১০ কোটি টাকা।

এই প্রকল্পটির তৈরি করতে অর্থের যোগান দেয় ইকুইটি ৭০ পার্সেন্ট এবং বি পি ডি বি ও এন টি পি সি প্রত্যেকে ১৫ পার্সেন্ট করে মোট ৩০ পার্সেন্ট। ঋণ দাতাদের সঙ্গে চুক্তি হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে ২৫ বছর মেয়াদী বিদ্যুতের চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। 

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর

মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরটি হল চট্টগ্রাম বিভাগের মাতারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে মাতারবাড়ি কে একটি সমুদ্র বন্দর হিসেবে নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করার জন্য নির্মাণাধীন কাজ গ্রহণ করেন জাইকা। জাইকার মাধ্যমে ন্যাশনাল চ্যানেল ৩৫০ মিটার প্রশস্ত সাথে বন্দরে অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে ১০০ মিটার দীর্ঘ। 

এছাড়াও গভীর সমুদ্রটির বহুমুখী টার্মিনাল কাজ সম্পন্ন করা হবে ২০২৬ সালে। প্রকল্পটির মাধ্যমে কয়লা টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও কনটেইনার জাহাজ এর জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রকল্পটি গভীরতা ১৬ মিটার হবে। প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৬ সালে এবং প্রকল্পটিতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ হল ১৭৭৭৭ কোটি টাকা। 

এল এন জি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল

মহেশখালীর কক্সবাজারে এলএনজি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনালটি অবস্থিত। এই প্রকল্পটির কাজ সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে হাজার ১৯ আগস্ট ২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্যিক ভাবে গ্যাস সংগ্রহ করছে এলএনজি গ্যাস টার্মিনাল। 

এই প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল থেকে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতা সম্পন্ন ভাসমান টার্মিনাল গ্যাস উৎপাদন করা হয়। এই প্রকল্পটি নির্মাণাধীন ১৫৬ কোটি মার্কিন ডলার। প্রকল্পটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করেছেন পেট্রোলিয়াম ও এপ্রিলে রেড এনার্জি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। 

বাংলাদেশ সরকার অনেক গুলো মেগা প্রকল্প গ্রহণ করলেও তা একে বারেই সব গুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না ফলে কিছু কিছু প্রকল্প স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পূর্ণ হলে বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।

আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারলেন বাংলাদেশ মেগা প্রকল্প রচনাটি সম্পর্কে। পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে সামাজিক মাধ্যম গুলো মাধ্যমে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন।

 এছাড়াও আপনারা যদি শিক্ষামূলক নিত্য নতুন পোস্ট পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুকমার্ক বা ফলো করতে পারেন। 

Leave a Comment