ব্রণ তোলা উচিত ও ব্রণ হওয়ার কারন

ব্রণ এমন এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বা কালো দাগ যা আমাদের মুখের সৌন্দর্য ও ব্যথা জনিত বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। সামাজিক পরিবেশ দূষণ এবং আমাদের নিজের নানা ধরনের খাদ্যাভ্যাস ও ভুলের কারণে মুখের ত্বকে ব্রণ ওঠে।  

ব্রণ কি 

ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরিত হয়। এই গ্রন্থির নালীর মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা জমে ফুলে ওঠে, যা পরবর্তীতে ব্রণ সৃষ্টি করে।  প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ হয়, লাল হয়ে যায় এবং ভীষণ জ্বালা পোড়া করে। সময়ের সাথে সাথে জীবাণুর সংক্রমণ বৃদ্ধি হলে এতে পুজ সৃষ্টি হয় এবং সংক্রমণ সেরে গেলে মুখে কালো কালো দাগ দেখা যায়। যা সহজেই ভালো হয় না এবং অনেক ব্যথা করে। 

ব্রণ হওয়ার কারন 

সামাজিক পরিবেশ দূষণ ও আমাদের বিভিন্ন খাদ্যাভাসের অভ্যাস ও নিয়মিত জীবন ব্যবস্থার রুটিন ইত্যাদির কারণে আমাদের মুখে ব্রণ সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। নির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত না হলেও হজমের সমস্যা, অ্যালকোহল, বয়সন্ধিকালে হরমোনের প্রভাবে ব্রণ সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

ব্রণ তোলা উচিত

ব্রণ এমন এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ বা কালোদাগ যা আপনার মুখের সৌন্দর্য ও তৈলাক্ত ভাব সব সময় স্পষ্টভাবে দেখা যায়। যার কারনে আপনার মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং মাঝে মধ্যে জীবাণুর সংক্রমণ বৃদ্ধি হলে এতে পুজ সৃষ্টি করে অনেক ব্যথা করে। 

আপনার মুখে ব্রণ দেখা দিলে ব্যথা যখন করবে হাত দিয়ে হাত দিয়ে তোলা বা চুলকানোর চেষ্টা করবেন না। কারণ আপনার হাতের স্পর্শের কারণে ব্রণের বিষাক্ত পদার্থ বা পুঁজ আপনার মুখের অন্য যে জায়গায় লাগবে সেখানেই আবার নতুন করে ব্রণের সৃষ্টি হবে, তাই ব্রণ তোলা উচিত নয়। ব্রণ তোলার জন্য বিভিন্ন ক্রিম ও ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করুন। আপনার খাদ্যাভাস ও দৈনদিন রুটিন পরিবর্তন করুন। 

ব্রণ হলে কি করবেন 

১. দিনে কমপক্ষে দুই তিনবার সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিবেন। আপনি বাহিরে গেলে বাহির থেকে এসে ভাল করে মুখ ধোবেন এবং হালকা গরম পানি দিয়ে মুখে পানির ঝাঁপটা দিবেন। 

২. তেল ছাড়া মেকআপ ব্যবহার করুন।

৩. মাথা সবসময় খুশকিমুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।

৪. সব সময় ঠাণ্ডা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় থাকবেন এবং আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করুন। 

৫. রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাবেন ও মানসিক চাপ মুক্ত থাকবেন। 

৬. প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল ও পানি খাবেন। 

Leave a Comment