ব্যস্তানুপাতিক

ব্যস্তানুপাতিক মানে হল দুটি রাশির মধ্যে এমন একটি সম্পর্ক, যেখানে একটির মান বৃদ্ধি পেলে অন্যটির মানও একই অনুপাতে বৃদ্ধি পায় বা কমে।

আপনি বর্তমানে কি করছেন?

এখন আমি একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করছি। ধরো, তুমি একটি দোকানে ফল কিনতে গিয়েছো। এখানে যদি আমরা কমলার দাম আর তুমি যে পরিমাণ টাকা দিবে, সেই দুটি জিনিসের মধ্যে একটি সম্পর্ক খুঁজি, তাহলে সেটা হল ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক। মানে, যদি কমলার দাম বাড়ে, তবে তুমি যে পরিমাণ টাকা দিবে সেটাও বাড়বে। আর যদি কমলার দাম কমে, তবে তুমি যে পরিমাণ টাকা দিবে সেটাও কমবে।

উদাহরণ দেই, ধরো একটি কমলা কিনতে ১০ টাকা লাগে। তুমি যদি ৫টি কমলা কিনতে চাও, তাহলে তোমাকে ৫০ টাকা দিতে হবে। এখানে কমলার সংখ্যা আর মোট দামের মধ্যে একটি সম্পর্ক আছে, যা ব্যস্তানুপাতিক। যদি কমলার দাম দুইগুণ হয়ে যায়, অর্থাৎ একটি কমলার দাম হয়ে যায় ২০ টাকা, তাহলে ৫টি কমলা কিনতে তোমাকে দিতে হবে ১০০ টাকা। এখানে দেখতে পাচ্ছো, কমলার দাম আর মোট দাম একই অনুপাতে বেড়েছে, যা হল ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের একটি উদাহরণ।

আরো পড়ুনঃ টেটরাসল সলিউশন ব্যবহারের নিয়ম

ব্যস্তানুপাতিক কি?

ব্যস্তানুপাতিক হচ্ছে গণিতের একটি ধারণা যা দুটি চলকের মধ্যে সম্পর্ক নির্দেশ করে। এই সম্পর্ক অনুযায়ী, যদি একটি চলকের মান বেড়ে যায়, অন্যটির মানও সেই অনুপাতে বেড়ে যায় বা কমে যায়।

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের উদাহরণ কি কি?

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের একটি উদাহরণ হল, গাড়ির গতি এবং সময়ের মধ্যে সম্পর্ক। গাড়ি যত দ্রুত চলে, নির্দিষ্ট দূরত্ব পার হতে তত কম সময় লাগে। আরেকটি উদাহরণ হল, কোনো পণ্যের মূল্য এবং ক্রয়ের পরিমাণ। পণ্যের মূল্য যত কম, লোকে তত বেশি পরিমাণে ক্রয় করে।

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক কিভাবে চিহ্নিত করা যায়?

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক চিহ্নিত করার জন্য গণিতের একটি সূত্র ব্যবহার করা হয়, যেটা হল [y = kx]। এখানে (y) এবং (x) হল দুটি চলক, এবং (k) হল স্থিরাংক যা তাদের সম্পর্কের মাত্রা নির্দেশ করে।

ব্যস্তানুপাতিক এবং বিপরীত ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক এর মধ্যে পার্থক্য কি?

ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক হল যেখানে দুটি চলকের মান বাড়লে বা কমলে তারা একই দিকে বাড়ে বা কমে। অন্যদিকে, বিপরীত ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক হল যেখানে একটি চলকের মান বাড়লে অন্যটির মান কমে যায় এবং উল্টো ঘটনা ঘটলেও তাই হয়।

জীবনে ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক কিভাবে প্রযোজ্য হয়?

জীবনে ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্ক বিভিন্ন উপায়ে প্রযোজ্য হয়। যেমন, খাবারের পরিমাণ এবং তার পুষ্টি মানের মধ্যে সম্পর্ক, যানবাহনের গতি এবং তেলের ব্যবহার, আয় এবং ব্যয়ের মধ্যে সম্পর্ক ইত্যাদি। এই ধারণা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।

Leave a Comment