দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

দাউদ মূলত একটি ছত্রাকজনিত রোগ, দাঊদ আক্রান্ত স্থানটি প্রচন্ড চুলকায় এবং জ্বালাপোড়া করে। সময় মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করলে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও যাঁদের এলার্জি রয়েছে ও মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে এবং নোংরা অবস্থায় থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি দাউদ হয়। 

এই ছত্রাক জনিত রোগ দাউদের হাত থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করবো দাউদ এর কারণ, চিকিৎসা ও দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি, এছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে দূর করা যায়। 

দাউদ কেন হয়? ও দাউদের চিকিৎসা কি?

দাউদ হল একটি ছত্রাকজনিত রোগ আর ছত্রাকজনিত রোগ হয়ে থাকে যে সকল স্থানে আলো-বাতাস প্রবেশ করে না এবং ভিজা অথবা স্যাঁতসেতে জায়গা রয়েছে। সে সকল স্থানে ছত্রাক জন্মায় এবং ছত্রাক এর ফলে দাউদ এর সৃষ্টি হয়। তাছাড়াও দাউদ একটির সংক্রমক জাতীয় রোগ যা মানুষের সংস্পর্শে এলে অন্যদেরও হয়ে যায়। অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করলও দাউদ হয়।

দাউদ কেন হয়?

উত্তরঃ যাঁদের এলার্জি রয়েছে ও মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে এবং নোংরা অবস্থায় থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি দাউদ হয়।

আর এই তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক ধরনের পদ্মতি রয়েছে। ভেষজ চিকিৎসা, হোমিও চিকিৎসা ও এলোপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে দাউদের চিকিৎসা করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এগুলো চিকিৎসা ছাড়াও সবচেয়ে জনপ্রিয় দাউদের চিকিৎসা হলো মলম বা ক্রিম। 

অনেকেই রয়েছেন যে দাউদের ভাল মলম কোনটি সে সম্পর্কে জানতে চান। তাই আজ আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি এবং তার দাম কত ও কিভাবে ব্যবহার করতে হবে।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

দাউদের চিকিৎসা সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো মলম। সবচেয়ে বেশি দাউদের জন্য মলম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই দাউদে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি তা জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। 

তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে কোন মলম ব্যবহার করার পূর্বে ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মলম ক্রয় করতে হবে। দাউদের চিকিৎসায় বর্তমানে যে সকল মলম অথবা ক্রিম ব্যবহার হচ্ছে তা নিম্নে দেওয়া হলো।

  • ফাঙ্গিট্যাক  মলম
  • অক্সিফান লোশন
  • ফাঙ্গিডাল  মলম
  • লিউলিজল মলম
  • ইবারকোনাজল মলম
  • মাইকোনাজল মলম 
  • টারবিনাফি মলম

উপরিক্ত মলম গুলো ব্যবহার করলে দাউদ থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে। যেহেতু দাউদ একটি ছোঁয়াছো জাতীয় রোগ তাই এই রোগকে অবহেলা না করে। ডাক্তারের পরামর্শ মত সবচেয়ে ভালো দাউদের মলম ব্যবহার করা উচিত। দাউদের মলম অন্যান্য সকল মলম এর মত দ্রুত কাজ করে না। তাই আপনাদেরকে ধৈর্যের সহিত মলমটি ২০ থেকে ৩০ দিন ব্যবহার করতে হবে। মলম গুলোর দাম অন্যান্য মলম থেকে কম রয়েছে। 

দাউদ প্রতিরোধে করণীয় কি? 

দাউদ কে প্রতিরোধ করতে হলে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করার ফলে আপনারা দাউদকে অনেকটা প্রতিরোধ করতে পারবেন। কারণ দাউদ একটি ছোয়াচে রোগ যা মানুষের সহস্পর্শে এলে তা ছড়িয়ে পড়ে। দাউদ প্রতিরোধের করনীয় কি তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।

  • দাউদ আক্রান্ত স্থানে গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
  •  আক্রান্ত স্থানটি আদ্র জায়গায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • সংক্রমণ হওয়া স্থানটিতে সাধারণ সাবান অথবা শ্যাম্পু লাগানো যাবে না। সর্বদায় ছত্রাকবিরোধী সাবান ও শ্যাম্পু সহ অন্যান্য মেডিসিন ব্যবহার করতে হবে। 
  • দাউদ একটি সংক্রামক রোগ তাই আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক ও আসবাবপত্র আলাদা স্থানে রাখার চেষ্টা করতে হবে। 
  • গৃহপালিত পশু স্পর্শ করার পর ভালোভাবে হাত ধৌত করে নিতে হবে।
  • কেউ যদি বেশি সময় ধরে পানি ব্যবহার করে অথবা দূষিত পানি ব্যবহার করে তাহলে ক্যালান্ডিডাই ছত্রাকজনিত রোগ হতে পারে। তাই তা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
  • সংক্রমোক স্থানটিতে নখ লাগানো যাবে না এতে করে অন্য স্থানে রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়াও সুতি ডিলেডালা ও আরামদায়ক কাপড় পরিধান করতে হবে।  এতে করে রোগটি কম ছড়িয়ে পড়বে।

আরোও দেখুন>>>

দাউদকে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ভালো চিকিৎসা করা উচিত। তা না হলে এতে করে জটিল ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। 

ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে দাউদ দূর করা যায়?

দাউদের মলম ও ট্যাবলেট ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে দ্রত দাউদের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অনেকে রয়েছেন যে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে দ্রত দাউদের থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। তাহ্লে আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া যায়।

মধুঃ মধু ছত্রাক জনিত রোগকে প্রতিহত করতে সহয়তা করে। কারণ মধুতে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড যা ছত্রাকনাশক উপাদান কে প্রতিহত করে। তাই মধু দাউদ আক্রান্ত স্থানটিতে লাগিয়ে রাখুন যাতে করে স্থানটি সম্পূর্ণ ঢেকে যায়। এ প্রক্রিয়াটি কিছু দিন ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

অ্যালোভেরাঃ যেকোনো ধরনের ছত্রাক জনিত রোগকে প্রতিহত করতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান হলো অ্যালোভেরা। এতে রয়েছে রেজিন নামক একটি উপাদান যা দাদের চুলকানি যন্ত্রণা ও জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। রেজিন নামক উপাদানটি দাউদের চুলকানি ও যন্ত্রণা এবং অন্যান্য উপসর্গ দ্রুত কমাতে সহায়তা করে। তাই অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগাতে হবে। দাউদ দূর না হওয়া পর্যন্ত দিনে ২ থেকে ৩ বার অ্যালোভেরা জেল লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

জায়ফলঃ দাউদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে জায়ফল গুড়া করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবং এই পেস্ট দাউদের আক্রান্ত জায়গায় পুরোপুরি লাগিয়ে ফেলুন। এতে করে দাউদ থেকে দ্রুত রক্ষা পাওয়া যাবে। কারণ জায়ফলে রয়েছে এন্টিসেফটিক এবং এন্টিইনফ্লামেটরি উপাদান যা দাউদ নিরাময়ে খুবই কার্যকর।

উপরিক্ত নিয়ম গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত দাউদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া আপনারা চাইলে দাউদের মলম ও ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে দাউদের মলম ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় তা জানতে পেরে উপকৃত হতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন। তাছাড়াও স্বাস্থ্য টিপস সম্পর্কিত আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। 

দাউদ নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর:

দাউদ কেন হয়?

যাঁদের এলার্জি রয়েছে ও মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে এবং নোংরা অবস্থায় থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি দাউদ হয়।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম

দাউদের চিকিৎসায় বর্তমানে যে সকল মলম অথবা ক্রিম ব্যবহার হচ্ছে তা নিম্নে দেওয়া হলো।
ফাঙ্গিট্যাক  মলম
অক্সিফান লোশন
ফাঙ্গিডাল  মলম
লিউলিজল মলম
ইবারকোনাজল মলম
মাইকোনাজল মলম 
টারবিনাফি মলম

Leave a Comment