আপনি যদি মুসলমান হন তাহলে ইসলাম সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা আবশ্যক। আজ আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ইসলাম শিক্ষা বইয়ের ইবাদত বিষয় নিয়ে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ইবাদত অর্থ কি, ইবাদত কাকে বলে, ইবাদত কত প্রকার ও কি কি। আর্টিকেলটি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ইবাদত অর্থ কি?
Headline...!!!
ইবাদত শব্দটি হল আরবি। যার অর্থ হলো নমনীয় হওয়া, চূড়ান্ত ভাবে দীনতা-হীনতা ও বিনয় প্রকাশ করা। ইসলামী পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজ-কর্ম আল্লাহ তালার বিধি-বিধান, আদেশ-নিষেধ মেনে চলা কে ইবাদত বলে।ইবাদত শব্দটি পবিত্র কুরআনে ২৭৬ বার উল্লেখিত হয়েছে।
মহান আল্লাহতালার একত্ববাদকে মেনে চলার নামই হল ইবাদত। যদি কেউ মহান আল্লাহ্ তা’আলার একত্ববাদ কে অস্বীকার করে তাহলে তার ইবাদত হবে না। মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন যে, আমি জিন ও মানব জাতিকে কেবল সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্য।(সুরা-যারিয়াত, আয়াত- ৫৬ )
ইবাদত কাকে বলে?
সাধারণভাবে ইবাদত বলতে বুঝায় আল্লাহ তালার একত্ববাদকে মান্য করার মাধ্যমে যে সকল কাজ-কর্ম, নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয় তাকে ইবাদত বলে।
আবার বইয়ের ভাষায় এবাদত বলতে বুঝায় দৈনন্দিন জীবনের মানুষ মহান আল্লাহর আদেশ যেমন- সালাত, সাওম, হজ্ব, জাকাত পালন করা এবং নিষেধ যেমন- সুদ, ঘুষ, বেহায়াপনা ও বেপর্দা ইত্যাদি পরিহার করে চলে তাকে ইবাদত বলে।
ইবাদত অর্থ কি?
উত্তরঃ ইবাদত শব্দটি হল আরবি। যার অর্থ হলো নমনীয় হওয়া, চূড়ান্ত ভাবে দীনতা-হীনতা ও বিনয় প্রকাশ করা।
অন্যভাবে ইবাদতের সংজ্ঞা হল, দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ কর্মে আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান মেনে চলাকে ইবাদত বলে।
মহান আল্লাহ তালা সূরা ফাতিহা,০৪ নং আয়াতে উল্লেখ করেছেন যে, আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। মহান রব্বুল আলামিন এই সূরাটির মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে, শুধু তার এই একত্ববাদকে স্বীকার করতে হবে এবং তা মেনে চলতে হবে।
এছাড়াও মহান রাব্বুল আলামীন অন্য একটি ছড়া ইরশাদ করেন যে, আমি মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার ইবাদতের জন্য। (সুরা-যারিয়াত, আয়াত- ৫৬ )
মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআন মাজিদে ২৭৬ বার উল্লেখ করেছেন ইবাদত সম্পর্কে। তিনি অন্য একটি আয়াতে উল্লেখ করেন যে, হে মনুষ্য জাতি তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের এবাদত কর যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের কে সৃষ্টি করেছেন, ইবাদতের মাধ্যমে তোমরা মুক্তির পথ খুঁজে পাবে।
আরোও দেখুন
- আক্রমণ শব্দের অর্থ কি
- আহলান সাহলান অর্থ কি
- সামন্তরিকের পরিসীমা
- পৃষ্ঠপোষকতা অর্থ কি
- মডুলেশন কি
- তথ্য বিশ্লেষণ কাকে বলে
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআন মজীদে বারবার আমাদেরকে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছেন যেন আমরা মহান আল্লাহ্ তা’আলার একত্ববাদ কে স্বীকার করি এবং তার নিয়ম-নীতি, আদেশ-নির্দেশ অনুসরণ করে চলি।
ইবাদত কত প্রকার?
এখন আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ইবাদত কত প্রকার ও কি কি। ইবাদত প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
১। হক্কুল্লাহ ইবাদত
২। হাক্কুল ইবাদত
হক্কুল্লাহ ইবাদত– সকল ইবাদত এর মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ কে স্বীকার আদেশ ইদ্রিসকে মেনে চলা হয় তাকে হক্কুল্লাহ এবাদত বলে।
হাক্কুল ইবাদত- যে সকল ইবাদত সকলেই মান্য করে চলতে পারে তাকে হাক্কুল ইবাদত বলে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ হাক্কুল্লাহ ইবাদত ও হাক্কুল ইবাদত সম্পর্কে যে সংখ্যা দুটি প্রদান করা হয়েছে তা আপনারা আপনাদের বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে করবেন এই সংখ্যাটি সম্পূর্ণ নিজের জ্ঞান থেকে আলোচনা করা )
আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন। নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। এছাড়াও এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনাদের কমেন্ট গুলো আমাদের নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে থাকে ধন্যবাদ।
ইবাদত নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর
ইবাদত অর্থ কি?
ইবাদত শব্দটি হল আরবি। যার অর্থ হলো নমনীয় হওয়া, চূড়ান্ত ভাবে দীনতা-হীনতা ও বিনয় প্রকাশ করা।
ইবাদত কাকে বলে?
দৈনন্দিন জীবনের মানুষ মহান আল্লাহর আদেশ যেমন- সালাত, সাওম, হজ্ব, জাকাত পালন করা এবং নিষেধ যেমন- সুদ, ঘুষ, বেহায়াপনা ও বেপর্দা ইত্যাদি পরিহার করে চলে তাকে ইবাদত বলে।
ইবাদত কত প্রকার?
ইবাদত প্রধানত দুই প্রকার। যথা-
১। হক্কুল্লাহ ইবাদত
২। হাক্কুল ইবাদত