এক জাতি এক রাষ্ট্র এর স্লোগান কী?

জাতি হচ্ছে এমন একটি সম্প্রদায় যার একটি সাধারণ ভাষা, একটি অঞ্চল, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গড়ে উঠে। একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক ঐক্যতার মুল ভিত্তি হচ্ছে জাতি। ১৯৩৮ সালে এডলফ হিটলার এক জাতি, এক রাষ্ট্র এবং এক নীতি এই শ্লোগান নিয়ে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া রাষ্ট্র ও সম্প্রদায়কে একত্র করেছিলেন।

এডলফ হিটলার ছিলেন একজন জার্মান রাজনীতিবিদ ও নাৎসি পার্টির অন্যতম প্রধান নেতা। এডলফ হিটলার ১৯৩৩ সালে জার্মানির প্রথম চ্যালেঞ্জ এবং তার পরের বছর ফুহরার  হিসাবে জার্মানির ক্ষমতা গ্রহন করেন। 

এক জাতি এক রাষ্ট্র নীতি কি

প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। এগুলো হলো ওই জাতি বা ওই  সম্প্রদায়ের জাতীয় সম্পদ। তাই এগুলো সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য সে-ই জাতিকে পৃথক রাষ্ট্র গড়তে দেওয়া উচিত। বহুজাতিক জনগোষ্ঠী নিয়ে রাষ্ট্র গঠিত হলে সংখ্যালঘু জাতির দাবি উপেক্ষিত হবে। ফলে তাদের বিকাশের পথে বিভিন্ন বাধা সৃষ্টি হবে।

এরকম নীতির বা অধিকার স্বীকৃত হলে বড় বড় রাষ্ট্র ভেঙ্গে অনেক ছোট ছোট রাষ্ট্র তৈরি হবে। যেমন আমাদের দেশ ভেঙ্গে কয়েকটি দেশ পরিণত হবে। এতে সীমানা নিয়ে বিরোধ দেখা যাবে। বিশ্ব শান্তি বিঘ্নিত হবে। এছাড়া বড় রাষ্ট্রের নাগরিক মর্যাদাপায় ছোট রাষ্ট্রের নাগরিকরা তেমন মর্যাদা পাবে না।

এক জাতি এক রাষ্ট্র নীতি কার্যকর

তাই এক জাতি এক রাষ্ট্র নীতি কার্যকর হলে অনেক ছোট ছোট রাষ্ট্র গড়ে উঠবে। তারা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বনির্ভর কখনোই হতে পারবে না। ফলে শক্তিশালী রাষ্ট্রের তাদের উপর আক্রমণ করবে। সেক্ষেত্রে তাদের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ বিলুপ্ত হবে।

আরো দেখুন>>>

মধ্য আধুনিক যুগের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এরূপ বিভিন্ন সমস্যা প্রতিনিয়ত চলার কারণে তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট এডলফ হিটলার এক রাষ্ট্র এক জাতি স্লোগান দিয়ে তার রাষ্ট্রনীতি ঘোষনা করে। যার ফলে ছোট-বড় অনেক রাষ্ট্র একটি সম্প্রদায় বা এক জাতিগোষ্ঠী হিসাবে শান্তিপূর্ণভাবে সমাজে বসবাস করতে সক্ষম হয়। 

এডলফ হিটলার এক জাতি, এক রাষ্ট্র এবং এক নীতি ঘোষণা করার পর তৎকালীন বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজ বিজ্ঞানী সমালোচনা করে। এবার অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজ বিজ্ঞানী এই নীতিকে সমর্থন করেছেন।

Leave a Comment