আমরা নিজের সৌন্দর্য অন্যের কাছে প্রকাশ করতেই বেশি পছন্দ করি। তাই নিজের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রকমের ক্রিম, প্রসাধনী ও ফেসিয়াল ইত্যাদি করে থাকি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা ফেসিয়ালের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব।
ফেসিয়াল
ফেসিয়াল হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের মুখের ত্বকে যে মৃতকোষগুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে কালো রূপ ধারণ করে, সেগুলোকে পরিষ্কার করা এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার বুঝায়।
ফেসিয়ালের মাধ্যমে আমাদের ত্বক অনেক পরিষ্কার ও টানটান হয়। নিয়মিত ফেসিয়াল করলে বয়স জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ত্বক পরিষ্কার রাখতে কম বয়স থেকে ফেসিয়াল করানো যায়।
ফেসিয়ালের উপকারিতা
ত্বকের পরিচর্যা ও সজীবতা ফিরিয়ে আনতে মাসে একবার হলেও ফেসিয়াল করানো উচিত। ফেসিয়াল এর মাধ্যমে আমাদের ত্বকে নতুন কোষ জন্মগ্রহণ করে এবং মৃতকোষগুলো উঠে আসে। ফেসিয়াল করার মাধ্যমে গায়ের রং উজ্জ্বল হয়ে যাবে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়।
আরো দেখুন>>>
ব্রণ তোলা উচিত ও ব্রণ হওয়ার কারন
বরং ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা পূর্বের তুলনায় বেশি পরিষ্কার ও দেখা যাবে। সকালে এবং রাতে ভালোমতো মুখ-মন্ডল ধুলে ময়লা দূর হয় তেমনি নিয়মিত ফেসিয়াল করলে আপনার ত্বকের পরিচর্যা ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। মুখের পরিচর্চা নিয়মিত করলে পরবর্তী সময়ে বা বয়স বাড়লো ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ফেসিয়াল করার উপকারিতা সম্পর্কে।
- ব্রণ ও দাগ কমাতে সহায়তা করে,
- বলিরেখা কমায়,
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
- ব্লাকহেডস দূর করে,
- ফেসিয়াল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে,
- ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে,
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ইত্যাদি।
২০-২৫ বছরের আগের ফেসিয়াল করা ঠিক নয় ধারণাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ফেসিয়াল আমাদের ত্বককে পরিষ্কার ও টানটান রাখে। তাই নিয়মিত ফেসিয়াল করলে বয়স জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ত্বক পরিষ্কার রাখতে কম বয়স থেকে ফেসিয়াল করানো যায়। আমাদের আধুনিক প্রযুক্তিতে বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল পাওয়া যায়। তাই আপনার বয়স অনুযায়ী এবং ত্বকের আদ্রতা অনুযায়ী আপনি ফেসিয়াল করতে পারেন।