ফিতনা কাকে বলে? মুসলমানদের করণীয়?

আমরা যদি খাঁটি মুসলমান হতে চাই তাহলে আমাদের ইসলামের খুঁটি-নাটি ও বিধি-নিষেধ গুলো সম্পর্কে  জানা জরুরী। আজ আমরা আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানাবো ফেতনা কাকে বলে ও মুসলমানদের ফেতনার হাত থেকে বাঁচার জন্য করণীয় গুলো কি কি। আর্টিকেলটি সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ফেতনা শব্দটি আরবি যার আভিধানিক অর্থ হলো অরাজকতা, বিশৃংখলা ও কলহ ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় ফিতনা বলতে বিশৃঙ্খলা বিপর্যয় সৃষ্টি করা বুঝায়। অর্থাৎ সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান অবস্থান বিপরীত অরাজক পরিস্থিতি হল ফেতনা। আরবি ভাষায় আবার ফেতনা কে সামগ্রিক অর্থে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বলে। যেমন আগুনে পুড়িয়ে সোনার আসল ও নকল রূপ চিহ্নিত করা যায় তেমনই ফিতনা শব্দের ব্যবহার লক্ষ করা যায়।

মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন যে, আল্লাহর কাছে ফেতনা হত্যা অপেক্ষা মারাত্মক। (সুরা-বাকারা, আয়াত-২১৭)

তাই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেতনা সম্পর্কে তার উম্মতদেরকে ব্যাপক সর্তকতা করেছেন। মহান রব্বুল আলামিন সূরা বাকারার ২১৭ নম্বর আয়াতে বলেছেন ফেতনা হত্যা অপেক্ষা মারাত্মক এই আয়াত মাধ্যমে আমাদেরকে সর্তকতা বাণী পৌঁছে দিয়েছেন যাতে করে আমরা ফিতনার মধ্যে নিজেকে না জড়িয়ে ফেলি, তাই আমাদের কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ফিতনা কাকে বলে

অভিধানবিদ আজহারী বলেন ফেতনার আরবি ভাষার  সামগ্রিক অর্থ হলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে দেখা যায় যে, সেদিন তোমাদের আগুনে পোড়ানো হবে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে যারা ফিতনা-ফাসাদের লিপ্ত থাকবে তাদেরকে আগুনের মধ্যে পোড়ানো হবে। তাই আমাদের ফেতনা-ফাসাদ থেকে সবসময় নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। ফিতনা শব্দটি সর্বপ্রথম নাখলার যুদ্ধ সময় নাযিল হয়েছিল।

ফিতনা কাকে বলে?

উত্তরঃ ফিতনা শব্দটি আরবি যার আভিধানিক অর্থ হলো অরাজকতা, বিশৃংখলা ও কলহ ইত্যাদি।

মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন যে, মানুষ কি মনে করে যে আমরা ঈমান এনেছি বললেই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না। (সুরা-আনকানুত, আয়াত-০২) এই আয়াতটির মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদেরকে বুঝিয়েছেন যে ঈমান আনলেই হবে না তাদের ঈমানের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তাই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ফিতনার হাত থেকে তার প্রিয় বান্দাদের বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন হাদিসের ফেতনা বিভিন্ন আলামত সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেছেন। 

ফিতনার থেকে বাচার জন্য মুসলমানদের করণীয়

ফিতনার হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতদের জন্য একটি দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন যার মাধ্যমে ফেতনার কার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দোয়াটি হলো- আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল ফিতানি, মা জহরা মিনহা ওয়ামা বাতানা। দোয়াটির অর্থ হল- হে আল্লাহ আমরা আপনার কাছে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল ফিতনা হাত থেকে পরিত্রান চাই। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস-২৭৭৮ )

ফিতনার হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের যে সকল কাজ বর্জন করতে হবে। তা হল সকল প্রকার গুনাহ থেকে আমাদেরকে মুক্ত থাকতে হবে। যেমন চোখের গুনাহ, অশ্লীলতা ও উলঙ্গপনা, অন্যদেরকে কষ্ট দেওয়া, অন্যদের হক নষ্ট করা। আবার সুদ খাওয়া ও ঘুষ খাওয়া গোড়া থেকে নিজেকে যথাসাধ্য বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। 

আরোও দেখুন

সন্ত্রাস, ছিনতাই, রাহাজানি, গুম, খুন, অপহরণ ও  জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ফিতনার অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও অত্যাচার-নির্যাতন, ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি ফিতনার অন্যতম রূপ রূপ। ফিতনার হাত থেকে বাঁচতে হলে উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে তাহলে ফেতনা-ফাসাদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। 

আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি সামাজিক মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করার মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন। আপনাদের কমেন্ট গুলো আমাদের নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে অনুপ্রেরণা জোগায় ধন্যবাদ। 

ফিতনা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

ফিতনা কাকে বলে?

ফিতনা শব্দটি আরবি যার আভিধানিক অর্থ হলো অরাজকতা, বিশৃংখলা ও কলহ ইত্যাদি।

ফিতনার থেকে বাচার জন্য মুসলমানদের করণীয়?

একটি দোয়ার মাধ্যমে আমরা ফিতনা থেকে বাঁচতে পারি সে দোয়াটি হচ্ছে- আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল ফিতানি, মা জহরা মিনহা ওয়ামা বাতানা।

Leave a Comment