হার্ট এ্যাটাক কি? 

হার্ট এর সমস্যা নতুন কিছু নয়। বর্তমানে হার্ট এ্যাটাকের কারনে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমরা হয়তো প্রতিনিয়ত আশেপাশে এমন মৃত্যুর খবর সুনে থাকি। আমরা যদি হার্ট এ্যাটাক এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গুলি সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে পারি তাহলে এই রোগটি থেকে বিস্তার লাভ করা সম্ভব হবে।

আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে হার্ট এ্যাটাক কি এবং এই রোগটির প্রতিরোধ ব্যবস্থা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আপনি যদি বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

হার্ট অ্যাটাক বলতে কি বুঝায়? 

হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক। হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময় যে কারোর হতে পারে। এবং হার্ট অ্যাটাকে বর্তমানে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। একজন মানুষ যখন খুব বেশি চিন্তা করে নিজেকে স্থীর রাখতে পারে না। তখন তার শরীরে উচ্চ রক্তচাপ প্রবাহিত হতে থাকে আর তখনোই হার্ট অ্যাটাক এর সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়।

হার্ট অ্যাটাক বলতে কি বুঝায়? 

উত্তরঃ হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক রোগ। হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময় যে কারোর হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক মানুষের মধ্যে তখনোই দেখা দিয়ে থাকে যখন শরীরে রক্ত চাপ উচ্চ মাত্রায় অবস্থান করে। ফলে রক্ত চলাচল এর মাত্রা বাধা পেয়ে উচ্চ রক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। হার্টের উপরিভাগে লেপ্টে থাকে করোনারি আর্টারি বা ধমনী, যার মাধ্যমে হার্ট পুষ্টি এবং অক্সিজেন পায়। তখন হার্ট এ্যাটাক এর সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর এই হার্ট এ্যাটাক তখন একটি মানুষের মৃত্যুর কারন হয়ে দাড়ায়। 

মানুষ হার্ট অ্যাটাকের কবেলে হঠাৎ করেই পরে যায়। এই রোগটি দীর্ঘদিন ধরেই করোনারি ধমনীতে অ্যাথেরোসক্লেরোটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি চলমান রোগ প্রক্রিয়ারই বহিঃপ্রকাশ। তাই মারাত্মক এই রোগটিকে কখনো কখনো নিঃশব্দ আততায়ী বলা হয়। তবে সময়মত রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসায় রোগী ফিরে পেতে পারে নতুন জীবন।

হার্ট অ্যাটাকের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা 

হৃদরোগ প্রতিরোধযোগ্য এবং হৃদরোগের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেয়া সম্ভব শুধু নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে। যে কোনো ধরনের স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন। কর্ম জীবনের সব ব্যস্ততার মধ্যেও মানসিক প্রশান্তির কিছু উপায় বের করে নিতে হবে। 

হার্ট অ্যাটাক ধূমপান কারীদের হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই ধূমপান ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। শুধু ধূমপান ত্যাগের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং নিয়মিত মনিটরিং করুন। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আরোও দেখুন>

হার্টকে ভালো রাখতে নিয়মিত সজীবভাবে হাঁটার অভ্যাস করুন। কিছু শারীরিক ব্যয়াম করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫ মিনিট প্রত্যহ হাঁটাহাঁটি করুন। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে দিন। এ জন্য বেশি করে শাকসবজি, কাঁচা ফলমূল গ্রহণ করুন। চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে হার্ট বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আপডেট করে থাকি। আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 

হার্ট অ্যাটাক নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর:

হার্ট অ্যাটাক বলতে কি বুঝায়? 

হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক রোগ। হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময় যে কারোর হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা 

হৃদরোগ প্রতিরোধযোগ্য এবং হৃদরোগের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেয়া সম্ভব শুধু নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে। যে কোনো ধরনের স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন। কর্ম জীবনের সব ব্যস্ততার মধ্যেও মানসিক প্রশান্তির কিছু উপায় বের করে নিতে হবে। 

Leave a Comment