হার্ট স্ট্রোক এর লক্ষণ

হার্ট স্ট্রোক মুলত এটি মস্তিষ্কের রোগ। মানব দেহের প্রতিটি জায়গায় রক্ত প্রবাহিত হয়। স্ট্রোক এটি একটি মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমা হয়ে থাকে, রক্ত যদি তার চলাচলে বাঁধা গ্রস্থ হয় অথবা কোনো কারনে যদি রক্তনালী ছিড়ে যায় তাহলে সেই অবস্থাকে স্ট্রোক হয়। তবে হার্ট অ্যাটাক হোক কিংবা স্টোক যদি সঠিক সচেতনতা অবলম্বন করা যায় তাহলে সব রোগকেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। 

আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে স্ট্রোক এর লক্ষণ এবং স্ট্রোক দেখা দিলে করণীয় কি সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আপনি যদি সম্পূর্ণ জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

সাধারণত মস্তিষ্কের ক্ষতির বিপরীত দিকে মাংসপেশি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হবে। সাধারণ মানুষ মনে করে স্ট্রোকের মত শরীরের পেশী পঙ্গু হয়ে যায়। কিন্তু প্রকৃত ক্ষতি মস্তিষ্কের মধ্যে। যেমন রক্তপাতের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়, অ্যাসপিরিনটি নির্দিষ্ট কারণ পর্যন্ত নির্দিষ্ট হয়। যদি মস্তিষ্কে ক্ষতি হয় যা শ্বাসযন্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে, বা মস্তিষ্ক হ্রাস করে এবং মস্তিষ্কের স্টেমকে সংকুচিত করে, তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটবে।

স্ট্রোক কি? 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় স্ট্রোককে সেরিব্রভাসকুলার একসিডেন্ট বলা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে প্রচলিত ধারণা আছে, স্ট্রোক রোগটি মুলত হার্ট বা হৃৎপিণ্ডের রোগ। আসলে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। স্ট্রোক সম্পূর্ণ মস্তিষ্কের একটি দুর্ঘটনা বা ব্রেইনের রক্তনালির জটিলতাজনিত মারাত্মক একটি সমস্যা। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কোনো কারণে বিঘ্নিত হলে তখন স্ট্রোক হয়ে থাকে। 

হার্ট অ্যাটাক কি? 

উত্তরঃ হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক রোগ। হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময় যে কারোর হতে পারে।

শরীরে প্রবাহিত রক্তনালী যখন বন্ধ হয়ে যায় অথবা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে যখন বাঁধা পায় তখন স্ট্রোক দেখা দেয়। রক্তে থাকে অক্সিজেন আর পুষ্টিগুণ। ফলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যুগুলো মারা যায়। ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। দিনটিকে উপলক্ষ করে স্ট্রোক হলে করণীয় কী তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

স্ট্রোক এর লক্ষণ

১/ মাথা ঘুরানোর সাথে চোখে ঝাপসা দেখা এবং চারদিক অন্ধকার অন্ধকার দেখা।

আরোও দেখুন>

২/ হাঁটতে অসুবিধা এবং ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধা হওয়া এবং মস্তিষ্কের কোষগুলো শরীরের যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করে ওই অংশও প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।

৩/  শরীর প্রচুর পরিমানে ঘাম হওয়া। 

৪/ শরীর সম্পূর্ণ ভাবে দুর্বল হয়ে পড়া এবং শরীরের কিছু কিছু অবাশ অনুভব করা। 

৫/ মুখ মন্ডল বাকা হয়ে যাওয়া।

আমাদের পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

হার্ট অ্যাটাক নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর:

হার্ট অ্যাটাক কি? 

হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক রোগ। হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময় যে কারোর হতে পারে।

স্ট্রোক কি? 

স্ট্রোক এটি একটি মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমা হয়ে থাকে, রক্ত যদি তার চলাচলে বাঁধা গ্রস্থ হয় অথবা কোনো কারনে যদি রক্তনালী ছিড়ে যায় তাহলে সেই অবস্থাকে স্ট্রোক হয়।

Leave a Comment