বাংলা ব্যাকরণ এর ক্ষেত্রে কারো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ও তাই ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পর্যন্ত কারক সম্পর্কে বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। আপনারা নিশ্চয়ই কারক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।
কারক কাকে বলে?
কারক শব্দটি প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার কাড ধাতু থেকে এসেছে। বাংলা ব্যাকরণে কারক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্যগত দিকগুলো জানতে হলে অবশ্যই কারক সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সাধারণ ভাষায় কারক হল বাক্যে ক্রিয়া পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ককে বুঝায়। তবে বাংলা ব্যাকরণ মতে, বাক্যে ক্রিয়াপদের সাথে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক থাকে, তখন তাকে কারক বলা হয়। যেমন, চলো আমরা এখন সবাই মিলে মাঠে ফুটবল খেলবো।
কারক কাকে বলে?
উত্তরঃ সাধারণ ভাষায় কারক হল বাক্যে ক্রিয়া পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ককে বুঝায়।
কারক কত প্রকার ও কি কি?
কারক শব্দটির দ্বারা বুঝানো হয়েছে যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। যেমন, কোনো বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। বাংলা ব্যাকরণ কারক সাধারণত ৬ প্রকার। যথা, কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণ কারক, সম্প্রদান কারক, অপাদান কারক, অধিকরণ কারক।
১. কর্তৃকারকঃ যে বাক্যের মাধ্যমে কোনো কাজ বা কর্তাকে সরাসরি নির্দেশ করা হয় তাকে কর্তৃকারক বলা হয়। যেমন, আমি স্কুলে যাই। এখানে ‘আমি’ কর্তৃকারক।
২. কর্মকারকঃ যে বাক্যে কর্তাকে আদেশ করে ক্রিয়া সম্পাদন করা হয় তখন তাকে কর্মকারক বলে। যেমন– রবি বল খেলে, অর্পি বই পড়ে। এখানে ‘বল’ এবং ‘বই’ কর্মকারক।
আরোও দেখুন>
- ১০০ টাকার যাকাত কত টাকা?
- কত গ্রাম স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয়?
- কত টাকার মালিক হলে যাকাত দিতে হবে?
- সর্বনিম্ন যাকাত কত? যাকাত সর্বনিম্ন কত টাকা?
- যুক্তরাজ্যের ট্যাক্স কি যাকাত হিসেবে গণ্য হয়
- যাকাত কি সর্বদা ২.৫ শতাংশ
৩. করণ কারকঃ যে বাক্যের মাধ্যমে কর্তা যার সাহায্যে বা যাকে দিয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে করণ কারক বালে। যেমন– আমরা চোখ দিয়ে দেখি, আমরা কলম দিয়ে লিখি। এখানে ‘চোখ দিয়ে’ এবং ‘কলম দিয়ে’-এ শব্দগুলাে করণ কারক।
৪. সম্প্রদান কারকঃ যে বাক্যে স্বত্ব ত্যাগ করে, কোনাে কিছু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন, ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও, অন্ধজনে দয়া কর। এখানে ‘ভিক্ষুককে’ এবং ‘অন্ধজনে’ সম্প্রদান কারক।
৫. অপাদান কারকঃ যে বাক্যের মাধ্যমে কোনাে কিছু চলিত, পতিত, গৃহিত, উৎপন্ন, নির্গত ইত্যাদি বুঝায় তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন, মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়, তিল থেকে তৈল হয়। এখানে ‘মেঘ’ এবং ‘তিল’ অপাদান কারক।
৬. অধিকরণ কারকঃ যে বাক্যে ক্রিয়া স্থান, সময় বা বিষয় সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন, পুকুরে মাছ আছে, বসন্তে কোকিল ডাকে। এখানে ‘পুকুর’ এবং ‘বসন্তে’ অধিকরণ কারক।
কারক নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ
কারক কাকে বলে?
সাধারণ ভাষায় কারক হল বাক্যে ক্রিয়া পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ককে বুঝায়।
কারক কত প্রকার?
বাংলা ব্যাকরণ কারক সাধারণত ৬ প্রকার।