নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্কের গুরুত্ব

পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝি না বা জানি না নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্কের গুরুত্ব আমাদের জীবনে কতটুকু রয়েছে। চলুন আজকে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক, মানবজীবনে নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্কের গুরুত্ব সম্পর্কে।

নিউরাল কি

নিউরাল হচ্ছে কৃত্রিম নেটওয়ার্ক বা সংযোগকারী সিস্টেম। সহজ ভাষায় গণনাকারী সিস্টেম যা প্রাণীর মস্তিষ্ক গঠনকারী জৈবিক স্নায়ু দ্বারা অনুপ্রাণিত, কিন্তু অপরিহার্যভাবে একরকম নয়। এ ধরনের সিস্টেমগুলি সাধারণত কোন কাজ নির্দিষ্ট নিয়ম দ্বারা প্রোগ্রাম ছাড়াই শুধু উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পূর্ণ করতে পারে।

যেমন, শনাক্তকরণে তারা কোনো ছবিতে বিড়াল আছে কিনা তা নিয়ে চিহ্নিত করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা বিড়াল বা বিড়াল নয় হিসেবে পূর্বের লেবেল কৃত বিড়ালের বিশ্লেষণ করেন এছাড়া অন্যান্য চিত্রগুলো শনাক্ত করতে পারে। 

একটি নিউরাল সিস্টেম কৃত্রিম নিউরন যা একদল সংযুক্ত ইউনিট বা নোডের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় কৃত্রিম নিউরন।

সামাজিক নেটওয়ার্ক

সামাজিক নেটওয়ার্ক বা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বলতে আমরা বুঝি একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যক্তির একটি শৃংখল এবং তাদের ব্যক্তিগত সংযোগ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যেমন অন্যের সাথে নিজের যোগাযোগ বাড়ানোর একটি কৌশল যা ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কারণে ব্যবহার করতে পারি।

আরো দেখুন>>>

সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ্লিকেশনগুলো অন্য ব্যক্তির সাথে সংযোগ গুলো আরো সহজ করে তোলে। এটি নতুন বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা এবং পুরনো বন্ধুবান্ধবের সাথে সংযুক্ত করে। যেমন, ফেসবুক, টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ স্নাপচাট ইত্যাদির মত আরো অনেক নেটওয়ার্ক সাইট রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই আমরা আমাদের প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগ ও বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করতে পারি। 

নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্কের গুরুত্ব

আধুনিক দুনিয়াতে নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট গুলোর গুরুত্ব তুলে ধরা হলো। যেমন, 

১. শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বঃ আধুনিক প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নিউরাল ব্যবহার করে আমরা শিক্ষনীয় অনেক কিছু বাচ্চাদেরকে শেখাতে সক্ষম হয়ে থাকি। 

২. যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বঃ নিউরাল ও সামাজিক নেটওয়ার্ক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। 

৩. ব্যাকপ্রোপ্যাগেশন বা পশ্চাত-বিস্তারঃ নিউরাল নেটওয়ার্ক এবং শিক্ষার পুনঃজীবিত আগ্রহের মূল সূত্র বাত কারে অ্যালগরিদম রাষ্ট্রগুলির প্রশিক্ষণের সম্ভবপর কার্যকর করে। 

৪. সমাধানঃ সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইট গুলোর মাধ্যমে আমরা সমাজের বিভিন্ন সমস্যার কথা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারে এবং আমাদের নিজস্ব কোনো সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন হলে নিউরাল নেটওয়ার্ক দ্বারা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। 

আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা নিশ্চয়ই নিউরাল ও সামাজিক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক কি ও গুরুত্ব এই সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা সংগ্রহ করতে পেরেছেন।

যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে, তাহলে আপনার আশেপাশের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করে অন্যকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার সুযোগ করে দিন। 

Leave a Comment