ওহী শব্দের অর্থ কি? ওহী কাকে বলে? ওহী নাযিলের পদ্ধতি

ইসলামী পরিভাষায় ওহী শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ। ওহী হলো মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী সমূহ। আমরা সকলেই কমবেশি ওহী শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু আমরা যারা ওহী সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

ওহী শব্দের অর্থ কি?

সাধারণত ওহী একটি আরবি শব্দ। ওহী শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ইশারা, ইঙ্গিত, গোপন কথা, ঢেলে দেওয়া, ইলহাব তথা অন্তঃকরণে ভাব সৃষ্টি করা ইত্যাদি। 

ওহী শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ সাধারণত ওহী একটি আরবি শব্দ। ওহী শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ইশারা, ইঙ্গিত, গোপন কথা, ঢেলে দেওয়া, ইলহাব তথা অন্তঃকরণে ভাব সৃষ্টি করা ইত্যাদি। 

ওহী কাকে বলে?

সাধারণত ইসলামী পরিভাষার মতে, জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে নবী-রাসূলগণের নিকট পাঠানো তথ্যই হচ্ছে ওহী। সাধারণ অর্থে, ওহি হল কোনো ব্যক্তির নিকট গোপনে কোন সংবাদ পাঠানোকে বুঝায়। আবার বিশেষ অর্থে, ওহি হল মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নবি-রাসুলগণের কাছে পাঠানো সংবাদকে বুঝায়। 

ওহী কত প্রকার?

গোপনে আল্লাহ প্রদত্ত নবী-রাসূলদেরকে কোনকিছু জানানোর নামই ওহী। সাধারণত সমাজে সুশৃংখলভাবে বসবাসের জন্য এবং মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী পালনের উদ্দেশ্যে নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে ওহী প্রদান করা হত। ওহী সাধারণত ০২ প্রকার। যথা, পঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে মালু ওহী ও অপঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে গাইরে মাতলু ওহী। 

পঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে মালু ওহীঃ যে ওহীর মাধ্যমে মহান আল্লাহ প্রত্যক্ষ তত্ববধানে ভাব, ভাষা, অর্থ, বিন্যাস সকল কিছুই নাযিল করেছেন ও সংরক্ষণের ব্যবস্থাও এবং নবী কারিম (সাঃ) তা সরাসরি আল্লাহর ভাষায় প্রকাশ করেছেন পঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে মালু ওহী বলে। যেমন, পবিত্র কুরআন মাজীদ হল পঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে মালু ওহী। 

অপঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে গাইরে মাতলু ওহীঃ যে ওহীর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পক্ষ থেকে এসেছে, কিন্তু রাসূল (সাঃ) নিজ ভাষায় ও নিজের ভাব-ভঙ্গিতে বিভিন্ন বই বা হাদিসের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে সেই সকল বানীকে অপঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে গাইরে মাতলু ওহী বলে। যেমন, হাদিস সমুহ হল অপঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে গাইরে মাতলু ওহী। 

ওহী নাযিলের পদ্ধতি

ওহী নাযিলের পদ্ধতি সম্পর্কে বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করলেও আল্লামা সুহাইলী (রহঃ) মতে ৭ টি পদ্ধতিতে ওহী নাযিল হয়েছে। যেমন, 

১. স্বপ্নেঃ মহান আল্লাহর তালার আদেশে ঘুমের মধ্যে নবী রাসূলের নিকট স্বপ্নযোগে অনেক ওহী প্রদান করা হত। হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন, নবুওয়াত লাভের প্রথম দিকেরাসূল (সাঃ) এর নিকট ঘুমন্ত অবস্থায় ওহী আসত।

আরোও দেখুন>

২. সরসারিঃ মহান আল্লাহর তালার আদেশে হযরত জিবরাঈল (আঃ) কর্তৃক নবী রাসূলের নিকট ওহী প্রদান করা হত। 

৩. সালসালাতুল জারাস বা ঘন্টাধ্বনিঃ ওহী নাযিলের পূর্ব মুহূর্তে রাসূল (সাঃ) এর কানে ঘণ্টাধ্বনির ন্যায় আওয়াজ অবিরাম বাজতে থাকতো এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফেরেশতাও কথা বলতে থাকতেন। এটা ছিল ওহী নাযিলের কঠিনতম পদ্ধতি। আর এ পদ্ধতিকে সালসালাতুল জারাস বলা হয়েছে।

৪. ফেরেশতার মানবাকৃতিতে আগমনঃ মহান আল্লাহর তালার আদেশে কখনো কখনো ফেরেশতারা মানবাকৃতি ধারণ করে রাসূল (সাঃ) এর নিকট ওহী পৌঁছে দিতেন।

৫. ফেরেশতা নিজের আকৃতিতে আগমনঃ কখনো কখনো হযরত জিবরাঈল (আঃ)কে মহান আল্লাহ তা‘লা যে আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন সে আকৃতিতে নবী কারিম (সাঃ) এর নিকট ওহী নিয়ে আসতেন।  মহানবী (সাঃ) ৩ বার হযরত জিবরাঈল (আ)-কে স্বরূপে দেখেছিলেন।

৬.পর্দার অন্তরালঃ মহান আল্লাহর তালার আদেশে মাঝে মাঝে মহানবী (সাঃ) এর নিকট জিবরাঈল (আঃ) পর্দার আড়াল থেকে কথা বলার মাধ্যমে ওহী পাঠিয়েছেন। 

৭. ইসরাফীল (আঃ) এর মাধ্যমেঃ মহান আল্লাহর তালার আদেশে মাঝে মাঝে হযরত ইসরাফীল (আঃ) মহানবী (সাঃ) নিকট ওহী নিয়ে আসতেন।

ওহি নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর:


ওহী শব্দের অর্থ কি?

সাধারণত ওহী একটি আরবি শব্দ। ওহী শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ইশারা, ইঙ্গিত, গোপন কথা, ঢেলে দেওয়া, ইলহাব তথা অন্তঃকরণে ভাব সৃষ্টি করা ইত্যাদি। 

ওহী কত প্রকার?

ওহী সাধারণত ০২ প্রকার। যথা, পঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে মালু ওহী ও অপঠিতব্য ওহী বা ওহীয়ে গাইরে মাতলু ওহী। 

Leave a Comment