আপনার রূপের সৌন্দর্য আছে কিন্তু মুখের ছোপ ছোপ দাগ যা খুবই বিরক্তিকর। আপনার মুখের ত্বকে যদি বিভিন্ন রকমের দাগ থাকে, তাহলে বাইরে যাওয়া দুরের কথা আপনাকে আয়নার সামনে যেতেও নিজেকে লুকাতে হবে।
অনেক সময় নিজের সৌন্দর্য অতিরিক্ত বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ও ফেসিয়াল বেশি পরিমাণে করানোর কারণে ত্বকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আজকে আমরা জানবো কতদিন পর পর বা প্রতি সপ্তাহে কতবার ফেসিয়াল করানো উচিত এই সম্পর্কে।
ফেসিয়াল কি
নিয়মিত ফেসিয়াল করানোর মাধ্যমে আমাদের ত্বকের মৃত কোষগুলি উঠে আসে এবং নতুন কোষ জন্ম নেয়, যার কারণে আমাদের ত্বক পূর্বের তুলনায় অনেক গুন বেশী উজ্জ্বলতা দেখা যায়। ফেসিয়াল করানোর মাধ্যমে আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। সঠিকভাবে নিয়মিত ফেসিয়াল করানো হলে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক সুবিধাও রয়েছে।
সপ্তাহে কতবার ফেসিয়াল করানো উচিত
ফেসিয়াল করানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি অনেক অপকারিতাও রয়েছে। ফেসিয়াল করানোর মাধ্যমে আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য পূর্বের তুলনায় অনেক গুন বৃদ্ধি পায়। ১৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে আমাদের শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ফেসিয়াল করাতে পাড়ি। কিন্তু অনেক সময় সৌন্দর্য অতিরিক্ত বৃদ্ধি করার জন্য অনেক বেশি পরিমাণে প্রসাধনী ও ফেসিয়াল করে থাকি যার কারণে আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেয়ে সৌন্দর্যের ক্ষতি বেশি হয়।
আরো দেখুন>>>
ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায় কি?
নিয়মিত ফেসিয়াল করালে বয়স জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ত্বক পরিষ্কার রাখতে যেকোনো বয়সেই ফেসিয়াল করানো যায়। সাধারণত সুন্দর ত্বকের যত্ন করার জন্য দুই সপ্তাহ পর পর বা মাসে দুইবার হলেও ফেসিয়াল করানো উচিত।
ফেসিয়াল করানোর যে প্রসাধনীগুলো আপনার ত্বকে ব্যবহার করা হয় সেগুলোর কার্যক্ষমতা কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রভাব থাকে। যার কারণে প্রতি সপ্তাহে ফেসিয়াল করানো উচিত নয়, প্রতিমাসে একবার ফেসিয়াল করানো উচিত।
ফেসিয়ালের উপকারিতা
- ব্রণ ও দাগ কমাতে সহায়তা করে,
- বলিরেখা কমায়,
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে,
- ব্লাকহেডস দূর করে,
- ফেসিয়াল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে,
- ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে,
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ইত্যাদি।
ফেসিয়ালের অপকারিতা
- অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে ত্বকের উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যাবে,
- ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়,
- ত্বক শক্ত ও অমসৃণ হয়ে যায়।
- রক্ত সঞ্চালন কমে যায় ও ত্বকে ছোট ছোট দাগ ওঠে।