রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে?

আপনি কি রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে জানার জন্য অনুসন্ধান করতেছেন? তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইট টিতে রয়েছেন। আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান কি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে। 

যে গ্রন্থে রাষ্ট্র সম্পর্কিত সকল বিষয় আলোচিত হয়ে থাকে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে। মানুষ সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব ও কোন না কোন রাষ্ট্রের অধিবাসী। রাষ্ট্র ব্যতিত কারো পক্ষেই সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। তাই জীবন বিকাশের রাষ্ট্রের গুরুত্ব অপরিসীম।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে? 

নগর রাষ্ট্রের সকল সমস্যা ও সমাধান নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে। অথবা, মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত সকল বিষয় নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে থাকে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে।

শাব্দিক অর্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞানঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইংরেজি শব্দ পলিটিক্যাল সাইন্স (Political Science) থেকে অন্তর্গত হয়েছে। যার অর্থ রাষ্ট্রবিজ্ঞান। বিকাল সায়েন্স গ্রিক শব্দ polis থেকে উৎপত্তি হয়েছে। polis শব্দের অর্থ হল নগর বা নগর রাষ্ট্র। প্রাচীন গ্রিস ও রোমে ছোট ছোট নগর নিয়ে গঠিত এক একটি রাষ্ট্র গঠিত। সুতরাং বলা যেতে পারে প্রাচীনকালে যে শাস্ত্র নগর রাষ্ট্রের সমস্যা ও কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করে তাকেই রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে।

বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিভিন্ন ভাবে সংখ্যায়িত করেছেন। নিম্নে আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রমাণ্য সংখ্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণের মতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানর সংজ্ঞা

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে যেভাবে সংখ্যায়িত করেছেন তা উল্লেখ করা হলো।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবারের মতে,  রাষ্ট্রবিজ্ঞান একাধারে বাস্তববাদী ও আদর্শবাদী বিজ্ঞান, যা ন্যায়-নীতি অনুসন্ধান দিক থেকে মানব আচরণ সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে।

অধ্যাপক গার্নার বলেছেন, Political Science begins and ends with the State। যার অর্থ হল রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শুরু ও শেষ হয় রাষ্ট্র দিয়ে।

অধ্যাপক গিলক্রিস্ট এর মতে, রাষ্ট্র ও সরকার নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে।

লাসওয়েল এর মতে, সমাজের অন্তর্গত প্রভাব ও প্রভাবশালীদের ক্রিয়াকলাপের বিশ্লেষণ ও পর্যাচলনাই  হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান। 

পল জানের মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি সামাজিক বিজ্ঞান যা রাষ্ট্রের উদ্ভব ও সরকারের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করে।

অধ্যাপক গেটেলের মতে, রাষ্ট্রের অতীত-বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপ শাখা কি কি 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনেক গুলো উপশাখা রয়েছে। এখন আমরা আপনাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান উপশাখা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।

  • গবেষণাসহ তুলনামূলক রাজনীতি।
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।
  •  রাজনৈতিক দর্শন।
  • জনপ্রশাসন।
  • গণআইন

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিজ্ঞান নামে উল্লেখ করেছেন। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেল মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে? সে সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। 

আরো দেখুন

আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে শেয়ার করে, অন্যকে তথ্য গুলো সংগ্রহ করার সুযোগ করে দিন। এছাড়া শিক্ষামূলক নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুণ। 

Leave a Comment