সামান্তরিক কাকে বলে | Samantorik Kake Bole – গণিত কাকে বলে

আপনি সামান্তরিক কি সে সম্পর্কে অনুসন্ধান করতেছেন তা হলে আপনি সঠিক ওয়েব সাইটে রয়েছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে সামান্তরিক কি,সামান্তরিকের সংখ্যা এবং সামান্তরিকের বাহুর দৈর্ঘ্য কত তা আলোচনা করবো। আর্টিকেলটি সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

সামান্তরিক শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ পারলালগ্রামম্যান(Parallelogramman) থেকে যার অর্থ হল সমান্তরাল রেখা। সামান্তরাল রেখা হল এক বিশেষ ধরনের চতুর্ভুজ। সাধারনত ভাবে বলতে যে  চতুর্ভুজ বাহু গুলোর বিপরীত বাহু গুলো পরস্পর সমান বা সামান্তরাল তাকে সামান্তরিক বলে।

সামান্তরিক কাকে বলে

যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহু গুলো পরস্পর সমান্তরাল তাকে সামান্তরিক বলে। সামন্তরিকের বিপরীত বাহু গুলো সমান হওয়ায় সামান্তরিকের বিপরীত কোন গুলো পরস্পর  সমান। সামান্তরিকের যেকোন বাহুর বিপরীত বাহু গুলোর সমষ্টি হল ১৮০°। 

সামন্তরিকের সব গুলো বাহুর সমষ্টিকে সামন্তরিকের পরিসীমা বলা হয়ে থাকে। সামন্তরিকের ভূমিকে এর উচ্চতা দিয়ে গুণ করলে সামান্তরিকের ক্ষেত্র ফলটি পাওয়া যায়।  সামন্তরিকের ক্ষেত্রফলটি হলো= (ভূমি X উচ্চতা) বর্গ একক। 

সামান্তরিকের সংখ্যা

যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহু গুলো পরস্পর সমান্তরাল ও বিপরীত কোন গুলো 

পরস্পর সমান তাকে সামন্তরিক বলে। সামান্তরিকের কোনগুলো সমকোণ হলে আয়তক্ষেত্র হয়ে যায়। এছাড়াও সামান্তরিকের বাহুগুলো সমান হয়ে গেলে রম্বস এর রূপ ধারণ করে।

বর্গ,আয়ত্তক্ষেত্র ও রম্বস এর বিপরীত বাহুগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল হয় তাই সব গুলোকে সামন্তরিক বলা হয়। সামন্তরিক হল বিশেষ ধরনের চতুর্ভুজ।

সামন্তরিকের বৈশিষ্ট্য

  •  সামান্তরিকের চারটি কোণের সমষ্টি হল চার সমকোণ বা ৩৬০ ডিগ্রি।
  •  সামান্তরিকের দুইটি সন্নিহিত কোণের সমষ্টি হল দুই সমকোণ বা ১৮০ ডিগ্রি। 
  • সামান্তরিকের ভূমিকে উচ্চতা দিয়ে গুণ করলে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়।
  •   সামান্তরিকের বিপরীত বাহু গুলো পরস্পর সমান হয়ে থাকে।
  •  সামান্তরিকের বিপরীত বাহুদ্বয় পরস্পর সমান্তরাল হয়ে থাকে।
  • সামান্তরিকের কর্ণোদয় সামান্তরিক টিকে চারটি ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট ত্রিভুজের বিভক্ত করে।

গণিত কাকে বলে

সাধারণ ভাবে গণিত বলতে হিসাব-নিকাশ কে বুঝিয়ে  থাকে। আর সংখ্যা ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশের প্রক্রিয়াকে এই গণিত বলা হয়। গ্রীক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিস্টটল বলেন গণিত হল পরিমাপের বিজ্ঞান। এছাড়াও জার্মান গণিতবিদ কাল ফ্রেডরিক গাউস এর মধ্যে  গণিত হল সকল বিজ্ঞানের রানী। 

আধুনিক বিজ্ঞানীদের মতে গণিত হল– গণিত একটি বিমৃত ধারণার বিষয় যার কোন আকৃতি নেই যা ছোঁয়া,ধরা,দৃষ্টির বাইরে এবং যাকে কেবল মরণশীলতা ও চিন্তার মধ্যে পাওয়া যায়। 

গ্যালিলিও বলেন- গণিত এমন একটি বিজ্ঞান যার দ্বারা নির্ভুল তথ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

আমাদের আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন। এছাড়াও শিক্ষামূলক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েব সাইট টি ফলো করতে পারেন।

Leave a Comment