আপনারা কি সমাস কাকে বলে সে সম্পর্কে জানার জন্য অনুসন্ধান করতেছেন তাহলে আপনারা সঠিক ওয়েবসাইটে রয়েছেন।এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন সমাস কি, সমাস কাকে বলে, সমাস কত প্রকার ও কী কী। আর্টিকেল টি সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সমাস কাকে বলে?
Headline...!!!
সমাস শব্দের অর্থ হলো এক হওয়া। দুই বা ততোধিক পদ মিলিত হয়েছে যে সমষ্টি গঠিত হয় তাকে সমাস বলে। সংক্ষেপে বলা যেতে পারে একাধিক পদের একপদীকরণ কে সমাস বলে। সমাস দ্বারা দুই পদের সমন্বয় নতুন একটি অর্থবোধক পদ সৃষ্টি করে।
সংস্কৃত থেকে সমাসের রীতি চলে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি যে ঘরে ঘরে = প্রতিঘরে, এক দিকে চোখ যার = একচোখা, দোয়াত ও কলম =দোয়াতকলম, বটের তলা= বটতলা, সিদ্ধ যে আলু=আলুসিদ্ধ।
সমাস কাকে বলে?
উত্তরঃ দুই বা ততোধিক পদ মিলিত হয়েছে যে সমষ্টি গঠিত হয় তাকে সমাস বলে।
বিভিন্ন মনীষী সমাস কে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক তাদের তাদের সংখ্যা গুলঃ
মনীষীদের মতে সমাজের সংজ্ঞা
ড. সুকুমার সেনের মতে, পরস্পর অন্বব বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক পদকে এক পদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে।
ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, পরস্পর অর্ধ সঙ্গতি বিশিষ্ট দুই বা বাহুপদকে একটি পথ করার নাম সমাস।
জ্যোতিভূষণ চাকীর মতে, পরস্পর সম্পর্কিত দুই বা তার বেশি শব্দ একসঙ্গে মিলে সমাস গঠিত হয়।
সমাস কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ।
বর্তমানে পাঠ্যক্রম গুলোতে সমাস কে ৯ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সমাস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে নিম্নে আলোচনা করব।
১। দ্বন্দ্ব সমাস।
২। কর্মধারয় সমাস
৩। তৎপুরুষ সমাস
৪। বহুব্রীহি সমাস
৫। দ্বিগু সমাস
৬। অব্যয়ীভাব সমাস
৭। নিত্য সমাস
৮। আলোপ সমাস
৯। বাক্যশ্রয়ী সমাস
উপরিক্ত ৯ টি সমাজের সংজ্ঞা ও উদাহরন নিম্ন দেয়া হলো
দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে?
যে সমাসের সমস্যমান প্রত্যেক পদের অর্থ প্রদান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
যেমন- মা ও বাবা=মা-বাবা, ধনী ও গরিব=ধনী-গরিব, বাড়ি ও ঘর=বাড়ি-ঘর, সাদা ও কালো=সাদাকালো ইত্যাদি।
কর্মধারয় সমাস কাকে বলে?
যে সমাসের সমস্যামান পদ দুটি মধ্যে যখন একটি বিশেষ্য ও অন্যটি বিশেষণ কিংবা উভয় পথেই বিশেষ্য অর্থ প্রাধান্য পায় তখন তাকে কর্মধারা সমাস বলে।
যেমন– পল মিশ্রিত অন্ন=পলান্ন, মন রূপ মাঝি= মনমাঝি, আয়ের উপর কর=আয়কর, মিশির ন্যায় কালো=মিশকালো ইত্যাদি।
তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে?
যে সমাসে পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন- বই কে পড়া= বইপড়া, মন দ্বারা গড়া=মনগড়া, জল দেয় যে=জলদ, ছাত্রদের জন্য আবাস=ছাত্রাবাস ইত্যাদি।
বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে?
যে সমাসে সমস্যমান পদ দুটির অর্থ প্রধানরূপে প্রকাশিত না হয় অন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ প্রকাশিত হয় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন- নীল কন্ঠ যার=নীলকন্ঠ, নয় জানা যা=অজানা, গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে=গায়ে হলুদ, বিনা পানিতে যার=বিনা-পানি, কোলে কোলে যে আলিঙ্গন=কোলাকুলি ইত্যাদি।
দ্বিগু সমাস কাকে বলে?
যে সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ হয়ে সমাহার বা সমষ্টি বুঝায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন- তিন পদের সমাহার=ত্রিপদী, ত্রি ফলের সমাহার= ত্রিফলা, দো চালের সমাহার=দোচালা, নব গ্রহের সমাহার=নবগ্রহ ইত্যাদি।
অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে?
যে সমাসে সমস্যমান পদ পূর্বপদ অব্যয় হয় অর্থের দিক প্রধান লাভ করে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
যেমন- দিন দিন=প্রতিদিন, বাল হতে=আবাল্য, দানের বিপরীত=প্রতিদান, নদীর সাদৃশ্য=উপনদী, আদি হতে অন্ত=আদ্যন্ত ইত্যাদি।
নিত্য সমাস কাকে বলে?
যে সমাস প্রকৃতপক্ষে ব্যাসবাক্য হয় না ব্যাসবাক্য করতে চাইলে অন্য পদের সাহায্যে সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয় তাকে নিত্য সমাস বলে।
যেমন- অন্য ভাষা=ভাষান্তর, অন্য রূপ=রূপান্তর, কেবল হাটা=হাটাহাটি, কেবল নাম=নামমাত্র, অন্য গ্রাম=গ্রামান্তর ইত্যাদি।
আলোপ সমাস কাকে বলে?
সাধারণভাবে সমাসের পূর্ব পদের বিভক্তি লোপ পায় কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে সমাস নিষ্পন্ন হবার পূর্বে কোন পদের বিভক্তি আলোক আগের মতোই থেকে যায় এধরনের সমাস কে আলোক সমাস বলা হয়।
যেমন- দুধ ও ভাতে=দুধভাতে, জলে ও কাদায়=জলকাদায়, তেলে ভাজা=তেলেভাজা, রোদে পোড়া=রোদেপোড়া ইত্যাদি।
বাক্যশ্রয়ী সমাস কাকে বলে?
বাক্য যখন সমাসবদ্ধ পদ রূপে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে বাক্যাশ্রয়ী সমাস বলে।
যেমন- বিদ্যা+আলোয়=বিদ্যালয়, গাছে পাকা=গাছপাকা ইত্যাদি।
আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন। শিক্ষামূলক নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি সেভ বা বাকমার্ক করুন।