ভিভো Y16 বাংলাদেশ প্রাইস- Vivo Y16 Price in Bangladesh

ভিভো স্মার্টফোন কোম্পানি একের পর এক তাদের নিত্য নতুন মডেলের মোবাইল ফোন মার্কেটে লঞ্চ করে যাচ্ছে। নতুন মোবাইলের মধ্যে Y16 এই মডেলটি হচ্ছে অন্যতম সেরা একটি মোবাইল ফোন। আজকে আমরা vivo কোম্পানির এই নতুন মোবাইল ফোনটি দাম ও স্পেসিফিকেশন নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যারা ভিভো Y16 মোবাইলের দাম জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে থাকেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি অনেক হেল্পফুল হবে।

আমাদের আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে vivo y16 এই মোবাইলটির দাম, স্পেসিফিকেশন, ভালো ও খারাপ দিকগুলো জানতে পারবেন খুব সহজে। এবং এই মোবাইলটি বর্তমান সময়ে কেনা উচিত হবে কিনা সেটাও জানতে পারবেন আমাদের এই পোস্টএর মাধ্যমে। 

ভিভো Y16 বাংলাদেশ প্রাইস- Vivo Y16 Price in Bangladesh

ভিভো Y16 এর স্পেসিফিকেশনঃ

     দামঃ ১৫,৯৯৯ টাকা

ডিসপ্লে৬.৫১ ইঞ্চি
মেইন ক্যামেরা১৩+২ মেগাপিক্সেল 
ফ্রন্ট ক্যামেরা5 মেগাপিক্সেল
র‍্যাম৪ জিবি
স্টোরেজ৬৪ জিবি 
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
প্রসেসরমিডিয়াটেক হেলিও পি ৩৫ 
দাম১৫,৯৯৯ টাকা

ভিভো Y16 এর ডিসপ্লে

Vivo y16 এই মোবাইল ফোনটির ডিসপ্লের হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৫১ ইঞ্চির একটি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটির রেজুলেশন থাকছে 720 x 1600 pixels, 20:9 ratio। বাজেট হিসেবে এই ফোনটির ডিসপ্লে টা ফুল এইচডি প্লাস দিলে আরও বেটার হতো। এই মোবাইল ফোনটি ২জি, ৩জি এবং ৪জি নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড। এই মোবাইল ফোনটির ডিসপ্লেতে কোন কর্নিং গরিলা গ্লাসের প্রটেকশন আছে কিনা তা সঠিকভাবে এখনো জানা যায়নি। তবে মোবাইলটির স্ট্রেম এবং ফ্রেমে এবং পিছনে প্লাস্টিক দ্বারা গঠিত। 

ভিভো Y16 এর ক্যামেরা

এই মোবাইল ফোনটির রিয়ার প্যানেলে ডুয়েল ক্যামেরার একটি সেটআপ ব্যবহার করা হয়েছে। যার মেইন ক্যামেরায থাকছে 13 মেগাপিক্সেল এর এবং দ্বিতীয় ক্যামেরাটি থাকছে 2 মেগাপিক্সেল এর একটি ম্যাক্রো ক্যামেরা। Vivo y16 এই মোবাইলটিতে সেলফি তোলা ও ভিডিও কলে কথা বলার জন্য ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে ওয়াটার ড্রপ ডিসপ্লেতে একটি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এই মোবাইল ফোনটিতে ১০৮০p রেজুলেশনে 30fps এ ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। ১৬ হাজার টাকা বাজেট ফোন হিসেবে এই মোবাইল ফোনের ক্যামেরা আর একটু উন্নত মানের করতে পারতো। 

ভিভো Y16 এর ব্যাটারি 

ব্যাকআপের জন্য Vivo y16 এই মোবাইল ফোনটিতে ৫০০০ মিলি এম্পিয়ারের একটি নন রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এই মোবাইল ফোনটি চার্জ করার জন্য সাথে পেয়ে যাবেন 10 ওয়াটের একটি ওয়্যার চার্জার। Vivo y16 এই মোবাইল ফোনটি চার্জারের দিক থেকেও অনেকটা পিছিয়ে থাকছে। ১৬ হাজার টাকা বাজেটের ফোন হিসেবে এই ফোনটির সাথে একটি ১৮ ওয়াটের চার্জার দিলে আমার মনে হয় ভালো হতো।

ভিভো Y16 এর প্রসেসর

এই মোবাইল ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Octa-core (4×2.3 GHz Cortex-A53 & 4×1.8 GHz Cortex-A53) মিডিয়াটেক হেলিও পি ৩৫। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে রয়েছে android 12 এবং ইউজার ইন্টারফেস হিসেবে রয়েছে Funtouch 12। 

প্রথমবার দেখলে হয়তো মনে করবেন এই মোবাইল ফোনটিতে কোন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করা হয়নি। সকল মোবাইলের মতো এই মোবাইল ফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যাক প্যানেলে না দিয়ে সেন্সরটি সাইড মাউন্ট এ ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে মোবাইলটির ডিজাইন আরো অনেকটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। 

চলুন এখন জেনে নেই বাজেট হিসেবে এই মোবাইল ফোনটিতে আরো কি কি উন্নত করতে পারত। প্রথমত এই মোবাইল ফোনটিতে ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশন এর একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করতে পারত। 

আরো দেখুন

যেখানে তাড়া ব্যবহার করেছে 720 x 1600 pixels এর ডিসপ্লে। এই মোবাইলের  ব্যাটারিকে চার্জ করার জন্য সাথে যে ১০ ওয়াটের চার্জারটি দেওয়া হয়েছে। ওই চার্জারটি আপডেট করে তারা চাইলে ১৮ ওয়াটের একটি চার্জার দিতে পারতো। Vivo y16 এই ফোনটির দাম অনুযায়ী ক্যামেরার দিকটা বিবেচনা করে আরো কিছুটা আপডেট করতে পারতো। 

বন্ধুরা, আশাকরি ভিভো y16 বাংলাদেশ প্রাইস এবং স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনারা আমাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পেরেছে। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করতে ভুলবেননা।

এতে করে তারাও ভিভো y16 মোবাইলের বাংলাদেশ প্রাইস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং ভালো ও খারাপ দিক গুলো জানতে পারবে। নিয়মিত টেক রিলেটেড পোস্ট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে কোন বিষয়ে পোস্ট দেখতে চান তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের একটি কমেন্টেই আমাদেরকে নিত্য নতুন পোষ্ট লিখতে উৎসাহিত করে। 

Leave a Comment