ভিভো Y20 বাংলাদেশ প্রাইস- Vivo Y20 Price in Bangladesh

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট সংযোগ সবার হাতের নাগালে থাকায় আমাদের যা কিছুই দরকার হোক না কেন সব কিছুই জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকি। বিশেষ করে যারা মোবাইল ফোন কিনতে চাচ্ছেন তারা মোবাইল ফোনের কনফিগারেশন এবং দাম জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। আমরা আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেই বিষয়টি হচ্ছে Y20 মোবাইল ফোনের দাম সম্পর্কে। 

ভিভো Y20 বাংলাদেশ প্রাইস এই বিষয়টি লিখে অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। আজকে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ভিভো মোবাইলের দাম সম্পর্কে ও কনফিগারেশন সম্পর্কে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। 

ভিভো Y20 বাংলাদেশ প্রাইস- Vivo Y20 Price in Bangladesh

ভিভো Y20 এর স্পেসিফিকেশনঃ

           দামঃ ১৩,৯৯৯ টাকা

ডিসপ্লে৬.৫১ ইঞ্চি
মেইন ক্যামেরা১৩+২+২ মেগাপিক্সেল 
ফ্রন্ট ক্যামেরা৮ মেগাপিক্সেল
র‍্যাম৪ জিবি
স্টোরেজ৬৪ জিবি 
ব্যাটারি৫০০০ মিলিএম্প
প্রসেসরকোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগণ ৪৬০ 
দাম১৩,৯৯৯ টাকা

ভিভো Y20 এর ডিসপ্লে

ভিভো Y20 মোবাইল ফোনটি ২০২০ সালের প্রথম বাংলাদেশের বাজারে আসে। এই মোবাইল ফোনটি 2G, 3G এবং 4G নেটওয়ার্ক সাপোর্টেড। দুইটি কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাবে এই মোবাইল ফোনটি। 

৬.৫১ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এই ফোনটির মধ্যে। যার রেজুলেশন থাকছে HD+ 720 x1600 pixels (270ppi)।

ভিভো Y20 এর ক্যামেরা

এই মোবাইল ফোনটিতে রিয়ার প্যানেলে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ ব্যবহার করা হয়েছে। যার মেইন ক্যামেরাটি থাকছে ১৩ মেগাপিক্সেলের মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং সাথে থাকছে মেগাপিক্সেলের একটি Defth ক্যামেরা। সেলফি তোলা ও ভিডিও কলে কথা বলার জন্য ফ্রন্টে ওয়াটার ড্রপ ডিসপ্লের মাঝে ব্যবহার করা হয়েছে মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। এই মোবাইল ফোনটিতে ১০৮০p রেজুলেশনে 30fps এ ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। 

ভিভো Y20 এর স্টোরেজ 

এই মোবাইল ফোনটি ৪ জিবি র‍্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ ভেরিয়েন্টটি বাংলাদেশের মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে। দুইটি সিম কার্ড এবং সাথে একটি ডেডিকেটেড মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট পেয়ে যাবেন। যাদের স্টোরেজ একটু বেশি প্রয়োজন হয় তারা চাইলে এই এইচডি কার্ড টি তে এক্সট্রা একটি এসডি কার্ড ব্যবহার করে স্টোরেজ বাড়িয়ে নিতে পারবেন। 

ভিভো Y20 এর ব্যাটারি 

চার্জ ব্যাকআপ ভালো দেয়ার জন্য ভিভো ওয়াই ২০ এই মোবাইল ফোনটিতে 5000 মিলি এম্পিয়ার এর একটি নন রিমুভএবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এই বড় মাপের ব্যাটারিটাকে চার্জ করার জন্য সাথে থাকছে ১৮ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার। এই চার্জারটি দিয়ে খুব দ্রুত ফুল চার্জ করে নিতে পারবেন। দাম অনুযায়ী বেশ ভালো মাপের ব্যাটারি এবং চার্জার প্রোভাইড করতেছে vivo y20 এই মোবাইলটির সাথে। 

ভিভো Y20 এর প্রসেসর

এই বাজেট সেগমেন্টে ভিভো কোম্পানি ভিভো Y২০ এই মোবাইলটি তে মোটামুটি ভালো মানের একটি প্রসেসর ব্যবহার করেছে। এই মোবাইলটিতে ভালো পারফরমেন্সের জন্য Octa-core (4×1.8 GHz Kryo 240 & 4×1.6 GHz Kryo 240) কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগণ ৪৬০ এই প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে। অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে Android 10 এবং ইউজার ইন্টারফেস হিসেবে রয়েছে Funtouch 10.5। লো বাজেট সেগমেন্টের এই মোবাইল ফোনটিতে মোটামুটি ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে।

অন্যান্য ফোনের মত এই মোবাইল ফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি পিছনে ব্যবহার করা হয়নি। Side mounted ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হয়েছে এই মোবাইল ফোনটিতে। যার কারণে দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই মোবাইল ফোনটি। 

আরো দেখুন

বন্ধুরা আশা করি ভিভো Y20 বাংলাদেশ প্রাইস এবং স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের আজকের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এতে করে তারাও ভিভো y20 মোবাইলের বাংলাদেশের প্রাইস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নিয়মিত টেক রিলেটেড পোস্ট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি বুক মার্ক করে রাখতে পারেন। পরবর্তীতে কোন বিষয়ে পোস্ট দেখতে চান। তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আপনাদের একটি কমেন্টই আমাদেরকে নিত্য নতুন পোস্ট লিখতে উৎসাহিত করে।

Leave a Comment